বিশ্বজুড়ে বিলিয়নিয়ারদের তালিকা শুনতে শুনতে কিছু নাম তো আমাদের মুখস্থ হয়েই গিয়েছে। তাঁদের মধ্যে শীর্ষ তালিকায় আছেন টেক ইন্ডাস্ট্রিতে রাজত্ব করতে থাকা বেশ কয়েকজন সম্পদশালী ব্যক্তি। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বিলিয়নিয়ারদের এই তালিকা থেকে কে হতে যাচ্ছেন প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার?
বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তিদের একজন হচ্ছেন মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ। সম্প্রতি তাঁর নাম যুক্ত হয়েছে এক্সক্লুসিভ এই গ্রুপে। কারণ, তাঁর সম্পদ পৌঁছেছে ২০০ বিলিয়নে। এই সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। এই এলিট ক্লাবে তিনি নতুন হলেও সেখানে আগে থেকে আরও দুজন সঙ্গী ছিলেন। অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস (১৮৮ বিলিয়ন ইউরো) ও টেসলার প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ক (২৩৬ বিলিয়ন ইউরো)।
জাকারবার্গ তাঁর এই বিশাল সম্পদ কীভাবে গড়ে তুলেছেন জানেন? সোশ্যাল মিডিয়া নেটওয়ার্ক ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেড, মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটসঅ্যাপের প্যারেন্ট কোম্পানি মেটার সবচেয়ে বড় শেয়ারহোল্ডার তিনি। আর এ থেকেই তাঁর আয়ের উৎস দিন দিন বাড়ছে।
ব্লুমবার্গ বিলিয়নিয়ারের দেওয়া তথ্যমতে, বিশ্বের শীর্ষ তিনজন ধনীই এসেছেন টেকনোলজি ইন্ডাস্ট্রি থেকে। তা ছাড়া বাকি ১০ জন ধনীর মধ্যেও ৮ জন এই সেক্টরের। এর মধ্যে আছেন ওরাকল কোম্পানির ফাউন্ডার ল্যারি এলিসন (১৬৯ বিলিয়ন ইউরো), মাইক্রোসফটের কো ফাউন্ডার বিল গেটস (১৪৭ বিলিয়ন ইউরো), গুগলের হোল্ডিং কোম্পানি অ্যালফাবেটের কো–ফাউন্ডার ল্যারি পেইজ (১৩৬ বিলিয়ন ইউরো)।
শুধু ব্যক্তিই নয়, টেক ইন্ডাস্ট্রি বর্তমানে সবচেয়ে ভালো পারফর্ম করছে ব্যবসায়িক বিভিন্ন খাতে। ইনফর্মা কানেক্ট একাডেমির দেওয়া তথ্যমতে, ইতিমধ্যে সাত ট্রিলিয়ন ডলার কোম্পানির মধ্যে ছয়টিই এই খাতের। এর মধ্যে আছে মাইক্রোসফট, অ্যাপল, এনভিডিয়া, অ্যালফাবেট, মেটা। ২০২৪ সালের জুলাই মাস নাগাদ এদের অর্থ এক ট্রিলিয়ন ছাড়িয়েছে।
এই একই রিপোর্ট অনুসারে, আজ যাঁদের মাল্টি বিলিয়নিয়ার হিসেবে দেখছেন, তাঁদের মধ্য থেকেই আগামী তিন বছরের মধ্যে প্রথম ট্রিলিয়নিয়ারকে পেতে যাচ্ছে বিশ্ব। এই তথ্য কিন্তু মনগড়া নয়। বরং বেশ হিসাব–নিকাশ করা হয়েছে এ নিয়ে। বিশ্বের ৩০ জন সম্পদশালী ব্যক্তির বার্ষিক আয় এবং গত পাঁচ বছরে তাঁদের গড় বার্ষিক গ্রোথ রেট হিসাব করে এসব তথ্য জানা গেছে।
সার্বিক তথ্য বিবেচনায় বলা যায়, অবশ্য ইলন মাস্কই এই তালিকায় এগিয়ে আছেন অন্যদের চেয়ে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৭ সাল নাগাদ তিনিই হবেন প্রথম ট্রিলিয়নিয়ার। তাঁর ভাগ্যবদলের অন্যতম চাবিকাঠি হচ্ছে ‘টেসলা’; এটি বিশ্বের সবচেয়ে দামি গাড়ি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান এবং প্রাইভেট রকেট কোম্পানি স্পেস এক্স।
তিনি এক্স কর্পের ৭৯ শতাংশেরও মালিক, যেটার জন্য তিনি ২০২২ সালে ৪৪ বিলিয়ন ডলার খরচ করেছিলেন। অবশ্য তার পর থেকে এটার মূল্য ক্রমেই কমতে থাকে। তা ছাড়া নিউরালিংক, দ্য বোরিং কোম্পানি ও এক্সএআই নামে বেশ কয়েকটি স্টার্টআপও আছে তাঁর।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।