জুমবাংলা ডেস্ক : দেশে বিদ্যমান টেলিযোগাযোগ বা টেলিকম আইন সংস্কারে কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
খসড়া টেলিযোগাযোগ আইনের ওপর সংশ্লিষ্টদের নতুন মতামত সাপেক্ষে এই কমিটি গঠনের প্রস্তাব দেন তিনি।
এই কমিটির সুপারিশকৃত পরিবর্তন এবং খসড়া আইন নিয়ে পরবর্তীতে মন্ত্রণালয়ে আলোচনা করার আশ্বাস দেন তিনি।
বুধবার (৫ জুন) টেলিকম আইন সংস্কারের ওপর এক গোলটেবিল আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন পলক। টেলিকম বিটের সাংবাদিকদের সংগঠন টিআরএনবি এই সভার আয়োজন করে।
বিদ্যমান টেলিকম আইন সংস্কারে খসড়া টেলিযোগাযোগ আইনের ওপর সভায় মতামত দেন অংশীজনরা। দুই দশক পর হালনাগাদ খসড়া টেলিকম আইনটি বিনিয়োগ বান্ধব ও প্রয়োগযোগ্য হওয়া দরকার বলে সভায় জানান খাত সংশ্লিষ্টরা।
তাদের দাবি, এই আইন যেন জরিমানা নির্ভর না হয়ে বাস্তবায়নযোগ্য এবং সহনশীল এবং অন্তর্ভুক্তি ও সমন্বয় সুবিধার মাধ্যমে বিদ্যমান বিপত্তি কমায়। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাইমন রেজা তালুকদার বলেন, আইনে স্মার্ট বাংলাদেশ বাস্তবায়নে ডিজিটাল সেবা, ডেটা, জরিমানার ক্ষেত্রে ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের বিষয় নজরে আনা হয়নি। আরবিট্রেশনের সুনির্দিষ্ট কর্তৃপক্ষ না থাকা ও দায়মুক্তি এই আইনের ‘রুলস অব ল’এর পরিপন্থি। পাশাপাশি আইনের খসড়ায় নিয়ন্ত্রণ কমিশন বিটিআরসি’র স্বাধীনতা হরণ এবং সোশ্যাল মিডিয়ার ব্যবসার বিষয়টি যথাযথভাবে সঙ্গায়িত হয়নি বলেও মত দেন আলচকেরা। খসড়ায় এআই এর মতো সর্বশেষ প্রযুক্তিও অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। ভিন্ন ভিন্ন গাইডলাইনের সমন্বয় খসড়ায় রয়েছে বলেও উঠে আসে।
এমন প্রেক্ষাপটে নতুন প্রস্তাবনা দিতে ৭ অথবা ৯ সদস্যবিশিষ্ট কমিটি গঠনের প্রস্তাব করেন প্রতিমন্ত্রী পলক। এজন্য বিটিআরসি, টিআরএনবি এবং মোবাইল টেলিকম অপারেটরগুলোর সংগঠন অ্যামটব’কে এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বলেন তিনি। এসময় পলক আরও বলেন, আলোচনার মধ্য দিয়ে সময়োপযোগী এবং স্মার্ট বাংলাদেশের জন্য সহায়ক আইন তৈরি করবো। পাশাপাশি এটি হবে উদার, ব্যবসা বান্ধব এবং নাগরিককেন্দ্রিক। বিটিআরসি’র স্বাধীনতা সংকুচিত করা হবে না তবে সংস্থাটিকে পূর্ণ দায়মুক্তি দেওয়া হবে না বলেও জানান পলক।
টিআরএনবি সভাপতি রাশেদ মেহেদীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন সাধারণ সম্পাদক মাসুদুজ্জামান রবিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমদ এবং সম্মানিত অতিথি হিসেবে ছিলেন এমটব সভাপতি ও গ্রামীণফোনের প্রধান নির্বাহী ইয়াসির আজমান। এছাড়াও স্টেকহোল্ডারদের মধ্যে মোবাইল অপারেটর ও আইএসপি ব্যবসায়ী নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।