
জুমবাংলা ডেস্ক: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি ও তাদের মিত্রদের টেলিভিশনের পর্দায় দেখা গেলেও জনগণের পাশে তারা নেই।
তিনি বলেন, ‘মাঝে মধ্যে তাদের ঢাকা শহরে প্রেস ক্লাবের সামনে দেখা যায়, নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলন করার জন্য দেখা যায়, আর বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে দেখা যায়। অথবা ঘর থেকে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে সরকারের সমালোচনা করেন তারা। আমরা কি কাজ করছি সেটাতে কোন ভুল আছে কিনা শুধু সেটা খুঁজে বেড়ান। তারা শুধু ভুল ধরে। নিজেরা কোন কাজ করে না, তাই আমি তাদের নাম দিয়েছি, ভুল ধরা পার্টি। এই ধরণের ভুল ধরা পার্টি রাঙ্গুনিয়ায়ও আছে। তাদেরকে এখন দেখা যাচ্ছে না, ভোট আসলে দেখা যাবে, তখন তাদের জিজ্ঞেস করতে হবে এতদিন কোথায় ছিলেন ।
মন্ত্রী আজ চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় ব্যক্তিগত উদ্যোগে করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট লকডাউন পরিস্থিতিতে খেটে খাওয়া দিনমজুর ও দরিদ্রদের মাঝে খাদ্র্য সামগ্রী বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
রাঙ্গুনিয়া পৌরসভাস্থ মরহুম এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে তথ্য মন্ত্রীর পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশন খাদ্য সামগ্রী বিতরণের আয়োজন করে। এদিন রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা, চন্দ্রঘোনা, মরিয়মনগর, পদুয়া ও শ্রীপুর-খরন্ধীপ ইউনিয়নের দুই হাজার পরিবারে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আওয়ামী লীগ খেটে খাওয়া ও মেহনতি মানুষের দল। গরীব মানুষ ভোট দিয়ে আমাদের দেশ পরিচালনার দায়িত্ব দিয়েছে, তাই আমাদের দল গরীব মানুষের কথা ভাবে, অনেকে গরীব মানুষের কথা ভাবেনা। আমাদের দল এবং সরকার জনগণের পাশে আছে এবং থাকবে। অন্য কেউ নাই, তারা শুধু গলা ফাটায়। করোনার প্রথম ঢেউ যখন বাংলাদেশে আঘাত হানে তখন সরকারের পক্ষ থেক সাত কোটির বেশি মানুষকে ত্রাণ দেয়া হয়েছিল। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ১ কোটি ২৫ লাখ মানুষকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হয়। এরবাইরেও অনেকে ব্যক্তিগত ভাবে ত্রাণ দিয়েছিলেন।’
তিনি বলেন, করোনার ২য় ঢেউ এবার পূর্ব মহাদেশে আঘাত হেনেছে, ভারতের অবস্থা অত্যন্ত করুন। বাংলাদেশও এই ঢেউ থেকে মুক্ত থাকেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনার ২য় ঢেউ থেকে মানুষকে রক্ষা করার জন্য কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করেছেন। এই কারণে যারা প্রাত্যহিক উপার্জনের উপর নির্ভরশীল, দিনমজুর, খেটে খাওয়া মানুষ, তাদের অনেকের অসুবিধা হচ্ছে। সেই কথা বিবেচনা করে সরকারের পক্ষ থেকে আবারও ব্যাপক ত্রাণ তৎপরতা শুরু করা হয়েছে। কোটি কোটি মানুষের কাছে খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে। এমনকি যারা চাইতে পারেন না, বলতে পারেন না তাদের জন্য বিশেষ টেলিফোন নাম্বার চালু করে তাদের বাড়ি বাড়ি খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, ‘করোনার প্রথম দফায় যখন লকডাউন ঘোষণা করা হয় তখন এই রাঙ্গুনিয়ায় হাজার হাজার মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হয়েছিল আমাদের পারিবারিক দাতব্য প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে। ২য় দফায় আবার লকডাউন ঘোষণা করায় ইতিমধ্যে কয়েক হাজার মানুষকে খাদ্য সহায়তা দেওয়া হয়েছে। এদফায় এনএনকে ফাউন্ডেশন এবং পরিবারের পক্ষ থেকে ১০ হাজার পরিবারকে ত্রাণ সহায়তা দেয়া হবে। প্রয়োজনে এসংখ্যা আরো বাড়ানো হবে। ’
ড. হাছান বলেন, সরকার এবং প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে পৌরসভা এবং বিভিন্ন ইউনিয়নের জন্য কিছু বরাদ্দ এসেছে, সেগুলো দিয়ে খাদ্য সামগ্রী কিনে জনগণের মাঝে বিতরণ করা হবে। সেখানেও রাঙ্গুনিয়ার ১১ হাজারের বেশি পরিবারকে সহায়তা দেয়া হবে। শুধু তাই নয়, বঙ্গবন্ধু কন্যা নির্দেশ দিয়েছেন জনগণের পাশে থাকার জন্য। সেকারণে সমগ্র বাংলাদেশে আমাদের দলের নেতৃত্বে সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ কৃষকের ধান কেটে দিচ্ছেন। সেই ধান আবার তাদের বাড়ি পৌঁছে দেয়া হচ্ছে।
এনএনকে ফাউন্ডেশনের সমন্বয়কারী আবদুর রউফ মাষ্টারের সভাপতিত্বে ও এমরুল করিম রাশেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, ইউএনও মাসুদুর রহমান, মেয়র শাহজাহান সিকদার, রাঙ্গুনিয়া সার্কেলের এএসপি আনোয়ার হোসেন শামীম, আওয়ামী লীগ নেতা মুহাম্মদ আলী শাহ, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, আবুল কাশেম চিশতি, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিছ আজগর, শফিকুল ইসলাম, জামাল উদ্দিন, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, আবদুল মোনাফ সিকদার, গিয়াস উদ্দিন খাঁন স্বপন, মাস্টার আসলাম খান, আক্তার খাঁন, আক্তার কামাল প্রমুখ। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।