ইলন মাস্ক টেসলা কোম্পানির সিইও হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। বর্তমানে তিনি অত্যাধুনির রোবট নিয়ে কাজ করছেন যার নাম Optimus। মানুষের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য বজায় থাকবে এ ধরনের রোবট বাজারে নিয়ে আসতে চান ইলন।
বিষয়টি শুনতে কল্প-কাহিনীর মতো মনে হলেও ভবিষ্যৎ দুনিয়ার কথা ভেবে এ ধরনের প্রজেক্ট এর উপর কাজ করছেন তিনি।
তবে অনেকে মনে করছেন এ ধরনের গবেষণায় তিনি বেশি তাড়াহুড়ো করছেন। মানুষের মস্তিষ্কের চিন্তা-ভাবনা ডাউনলোড করে রোবট তার হার্ডড্রাইভে রাখবে এ ধরনের সক্ষমতা চায় টেসলা। টেসলা জানিয়েছে, এই কল্পনাকে একদিন তারা বাস্তবে রূপ দিবে। পুরো মস্তিষ্কের সব তথ্য রোবটের নিকট সেভ করা থাকবে। এই জায়ান্ট কোম্পানি বিশ্বাস করে তারা সফল হতে যাচ্ছে। মানুষের ব্যক্তিত্বকে রোবট যেনো সম্পূর্ণ নকল করতে পারে সেভাবেই গবেষণা করা হচ্ছে। মানুষ মারা যাওয়ার পর তার স্মৃতি আর ব্যক্তিত্ব বাদ দিলে কোন কিছুই অবশিষ্ট থাকে না। ইলন চান রোবটের মাধ্যমে মারা যাওয়ার ব্যক্তির স্মৃতি ও ব্যক্তিত্ত্ব প্রকাশ পাবে।
খুব শীঘ্রই বিশ্ব তার নয়া আবিষ্কার দেখতে পাবে কিনা এমন এক প্রশ্নের জবাবে ইলন মাস্ক বলেন, ” এ গবেষণায় অনেক বাধা-বিপত্তি আসবে। সবকিছুকে উপেক্ষা করে আমরা সামনে এগিয়ে যাবো। আমরা প্রোগ্রামিং এর কাজ শুরু করে দিয়েছি। মানুষের স্মৃতি, ইতিহাস কম্পিউটার ও স্মার্টোফোন এর ডকুমেন্ট এর সাথে সংযুক্ত থাকে। আমরা এ বিষয়টি মাথায় রেখেই কাজ করছি। আধুনিক তথ্য-প্রযুক্তির কল্যাণে মানুষের যোগাযোগ পদ্ধতিতে যথেষ্ট পরিবর্তন হয়েছে। কাজেই প্রযুক্তিকে ব্যবহার করেই আমরা গবেষণা চালিয়ে যাবো।”
ইলন মাস্ক সর্বপ্রথম ২০২০ সালে সর্বপ্রথম রোবট নিয়ে বাজারে আসে। ঐ রোবটটি ৫.৭ ফুট লম্বা ছিলো ও ১৩০ পাউন্ড ওজন ছিলো তার। ঐ সময় এ রোবটকে অগ্রগতির গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন তিনি। টেসলা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উন্নয়ন ঘটাতে মনোযোগী হবে। আরও নতুন ফিচার যুক্ত করা হবে।
গাড়ি নির্মানের ব্যবসা থেকেও রোবট উদ্ধাবনকে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন তিনি। পশ্চিমা বিশ্ব প্রায় সময় শ্রমিকের সংকট এ ভুগে থাকে। এজন্য অর্থনীতি ও ব্যবসা কার্যক্রম পরিচালনায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হয়। টেসলার এই আবিষ্কার সফল হলে বিশ্ব আর কখনও শ্রমিক সংকট দেখবে না।
ইলন মাস্ক জানান, তিনি মানুষের ক্ষতি হবে এ ধরনের বিষয় নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী নন। বড় গবেষণার মাধ্যমে মানবতার অগ্রগতিকে তরান্বিত করতে চান। তবে এই প্রজেক্ট এর কাজ দ্রুতগতিতে সামনে এগুচ্ছে। যেভাবে হোক তিনি তা বাস্তবায়ন করবেন।
মানুষের দৈনন্দিন জীবনে Optimus চমৎকার ভূমিকা পালন করবে। এই রোবট শ্রমিক হিসেবে কাজ করবে ও মানুষের ভার লাঘব করবে। ২০২৪ সালে বাজারে নিয়ে আসতে চায় টেসলা। তবে মানুষ যেনো অতিরিক্ত মেশিনের উপর নির্ভর না করে সেটাও দেখা উচিত। এতে করে মানুষের উদ্ভাবনী ক্ষমতা ও সৃজনশীলতা নষ্ট হয়ে যায়। টেসলা এ ধরনের ক্ষতিকর কাজ করবে বা বলে জানায় ইলন মাস্ক। সূত্র: দ্যাস্ট্রিট
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।