কারও কারও ভাষ্য, শচীন টেন্ডুলকারের অবিশ্বাস্য রেকর্ডটা জো রুটই ভাঙবেন। কোভিড পরবর্তী সময়ে ইংল্যান্ডের এই ব্যাটার যেভাবে ছুটছেন তাতে এই ইংলিশ ব্যাটারকে নিয়ে উচ্চাশা দেখানো যেতেই পারে। শেষ তিন বছরে টেস্ট ফরম্যাটে করেছেন ১৯ সেঞ্চুরি। এই সময় বিশ্বের অন্য কোনো ক্রিকেটার ১০ সেঞ্চুরিও করতে পারেননি। সেখানে রুট প্রতিনিয়ত নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন নতুন করে।
সবশেষ নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজেও পেয়েছেন সেঞ্চুরি। ১৫১ টেস্ট শেষে তার ঝুলিতে এখন ৩৬টি শতক। ক্রিকেট বোদ্ধাদের মতে, এভাবে ছুটতে থাকলে একদিন শচীন টেন্ডুলকারকেও হয়ত স্পর্শ করবেন ইংল্যান্ডের এই ব্যাটিং জিনিয়াস। অবশ্য, পরিসংখ্যানের পাতায় চোখ রাখলে এমন মনে হওয়া অসম্ভবও বলা চলে না।
জো রুট খেলে ফেলেছেন ১৫১ টেস্ট। শচীন থেমেছেন ২০০ টেস্টে। ১৫১ টেস্টের বিচারে দুই জনের পারফরম্যান্সের গ্রাফটা দেখলে লড়াইটাকে সমানে সমান বলা যেতেই পারে। যেখানে রানে এগিয়ে ইংলিশ ব্যাটার আর বাকি সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে থাকছেন ভারতের লিটল জিনিয়াস।
১৫১ টেস্টে জো রুটের রান ১২ হাজার ৮৮৬। আছেন ৫ম স্থানে। আর ৪৯২ রান করলেই দুইয়ে থাকা রিকি পন্টিংকে স্পর্শ করবেন তিনি। সমান সংখ্যক টেস্ট খেলে শচীন অবশ্য রানের দিক থেকে পিছিয়েই ছিলেন। করেছিলেন ১১ হাজার ৯৩৯ রান। যদিও গড় বিচারে শচীনই সেরা। ১৫১ টেস্ট খেলার পর তার গড় ছিল ৫৪ এর বেশি। যেখানে জো রুটের গড় এই মুহূর্তে ৫০.৯৩।
ফিফটি বেশি জো রুটের। শচীনের ৪৯ ফিফটির বিপরীতে রুটের ফিফটি মোট ৬৪টি। তবে একইসময়ে রুটের চেয়ে (৩৬) ৩টি সেঞ্চুরি বেশি ছিল শচীন টেন্ডুলকারের (৩৯)।
১৫১ টেস্ট শেষে শচীন ও জো রুটের পরিসংখ্যান
দুই জনের রেকর্ডের ভিন্নতা আছে হোম এবং অ্যাওয়ে ম্যাচের ক্ষেত্রেও। ১৫১ টেস্ট শেষে শচীনের ঘরের বাইরের মাঠে রান ছিল ৬ হাজার ৮২১। গড় ছিল ৫৩ এর বেশি। অন্যদিকে রুটের রান ৬ হাজার ১২৮। যেখানে গড় ৪৮ এর নিচে। তবে হোম ম্যাচে রুটের রান ৬ হাজার ৭৫৮। গড় ৫৫ ছুঁইছুঁই। যেখানে শচীন করেছিলেন ৫ হাজার ১১৮ রান।
শেষ পর্যন্ত শচীনের ৫১ সেঞ্চুরি কিংবা ১৫ হাজার ৯২১ রানের ট্যালি রুট স্পর্শ করতে পারবেন কি না তা নিয়ে প্রশ্ন থাকতেই পারে। ইংলিশ জেন্টেলম্যানের বয়স নেহাত কম নয়। শরীর ফিট রেখে আরও ৩ থেকে ৪ বছর ইংল্যান্ডের হয়ে খেলতে পারলে ক্রিকেট দুনিয়ার রেকর্ডবুক হয়ত বদলেও দিতে পারেন জোসেফ এডওয়ার্ড রুট।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।