আন্তর্জাতিক ডেস্ক : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প বিশ্বজুড়ে ইউএসএইড এর সব প্রকল্পের কার্যক্রম স্থগিতের নির্দেশ দেওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের এই আন্তর্জাতিক সাহায্য সংস্থার সহায়তাভোগী বিভিন্ন দেশে এইচআইভি, যক্ষ্মা ও ম্যালেরিয়ার মতো রোগের জীবনরক্ষাকারী ওষুধ এমনকি নবজাতকদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহ বন্ধ হওয়ার মুখে পড়েছে।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স একটি স্মারকলিপি (মেমো) পর্যালোচনা করে একথা জানিয়েছে। সোমবার ট্রাম্প প্রশাসন ইউএসএইড এর প্রায় ৬০ জন জ্যোষ্ঠ কর্মকর্তাকে ছুটিতে পাঠিয়েছে। এরপর মঙ্গলবারই ইউএসএইড এ কাজ করা ঠিকাদার ও অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলো তাৎক্ষণিকভাবে কাজ বন্ধ করার নির্দেশ সম্বলিত স্মারকলিপি পেতে শুরু করেছে।
ইউএসএইড এর সঙ্গে কাজ করা শীর্ষ পর্যায়ের মার্কিন পরামর্শদাতা প্রতিষ্ঠান কেমোনিক্স এমন একটি স্মারকলিপি পেয়েছে। কেমোনিক্স ইউএসএইড এর সঙ্গে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন রোগের ওষুধ সরবরাহে কাজ করে।
স্মারকে এই প্রতিষ্ঠানটির এইচআইভি/এইডস, ম্যালেরিয়া এবং যক্ষ্মার পাশাপাশি গর্ভনিরোধক, প্রসূতি ও শিশুস্বাস্থ্য সরঞ্জাম সরবরাহের কাজ বন্ধেরও নির্দেশ আছে বলে জানিয়েছেন ইউএসএইড এর এক বর্তমান ও এক সাবেক কর্মকর্তা।
চলতি মাসে ইউএসএইড এর বিশ্ব স্বাস্থ্য বিভাগের প্রধান পদ থেকে সরে দাঁড়ানো অতুল গাওয়ান্দে বলেন, “এটি বিপর্যয়কর। ওষুধ সহায়তা সরবরাহের মাধ্যমে এইচআইভি আক্রান্ত ২ কোটি মানুষকে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব হচ্ছিল। তা আজ বন্ধ হয়ে গেল।”
এ বিষয়ে মন্তব্যের জন্য রয়টার্সের অনুরোধে কেমোনিক্স ও ইউএসএইড তাৎক্ষণিক কোনও সাড়া দেয়নি।
অতুল গাওয়ান্দে বলেন, “চিকিৎসা বাধাগ্রস্ত হওয়ার মানে রোগীরা অসুস্থ হয়ে পড়ার ঝুঁকি থাকবে। আর বিশেষ করে এইডস/এইচআইভির ক্ষেত্রে অন্যদের মধ্যে তা ছড়ানোর আশঙ্কা বেড়ে যাবে। তাছাড়া রোগগুলোর ওষুধ-প্রতিরোধী নতুন ধরনের প্রাদুর্ভাবও হতে পারে।”
গাওয়ান্দে জানান, একই ধরনের নোটিশ অন্য অংশীদার প্রতিষ্ঠানগুলোও পেয়েছে। যার মানে, ওষুধের মজুত থাকার পরও এই প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন ক্লিনিকে তা সরবরাহ করতে পারবে না। আর ক্লিনিকগুলো যুক্তরাষ্ট্রের অর্থায়নে চললে সেগুলো চালুও থাকতে পারবে না।”
এইসব প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এমন সংগঠনও রয়েছে, যারা ২৩টি দেশে ৬৫ লাখ এতিম ও এইচআইভি সংক্রমণের ঝুঁকিতে থাকা শিশুদের নিয়ে কাজ করছে, বলেন গাওয়ান্দে।
গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর বিশ্বজুড়ে মার্কিন সহায়তা ও অর্থায়ন ৯০ দিনের জন্য স্থগিতের নির্বাহী আদেশ দেন। সেই আদেশের আওতায়ই ওষুধ সরবরাহ বন্ধের এই নির্দেশ দেওয়া হয়।
‘তরুণেরা তাদের স্বপ্ন, উদ্যম ও সৃজনশীলতার মাধ্যমে সমাজকে বদলে দিতে পারে’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।