মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে স্কুলছাত্র আবুল হোসেনের সচেতনতায় বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে চট্টগ্রামগামী আন্তঃনগর উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনের ৫ শতাধিক যাত্রী।
জানা যায়, উপজেলার শমশেরনগর আপ আউটার সিগন্যালের অদূরে ৩০৬/২ নং রেলপথের ঈদগাহ টিলা গ্রাম এলাকার বাঁকে একটি স্থানে সিলেট-আখাউড়া রেলপথের একটি পাত ভেঙে ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১০টায় এ গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে কামুদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র আবুল হোসেন রেলের পাত ভেঙে ফাঁকা হয়ে থাকতে দেখে গ্রামবাসীকে জানায়।
গ্রামবাসী খবরটি দ্রুত শমশেরনগর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শেখ রায়হান ফারুকের মাধ্যমে শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার কবির আহমদ ও শ্রীমঙ্গল রেলওয়ের গণপূর্ত বিভাগকে জানায়। খবর পেয়ে দ্রুত রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ভাঙা রেলপাত সরিয়ে সেখানে নতুন এক টুকরো রেলপাত বসিয়ে এক ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করে। এ সময় শমশেরনগর রেলওয়ে স্টেশনে চট্টগ্রাম অভিমুখী আন্তঃনগর পাঁচ শতাধিক যাত্রীবাহী উদয়ন এক্সপ্রেস শমশেরনগর স্টেশনে আটকা পড়েছিল। আর ঢাকাগামী আন্তঃনগর উপবন এক্সপ্রেস ট্রেন কুলাউড়া স্টেশনে আটকা পড়েছিল।
আবুল হোসেন সমকালকে জানায়, মঙ্গলবার রাতে সে স্থানীয় সায়েদ কবিরাজের বাড়ি থেকে ফেরার সময় টর্চলাইটের আলোয় দেখতে পায় রেলপথের একটি পাত দ্বিখণ্ডিত হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় ট্রেন চলাচল করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনার কথা ভেবে সে গ্রামবাসীকে বিষয়টি অবহিত করলে তারা পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
শমশেরনগর ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য শেখ রায়হান ফারুক বলেন, ছাত্রটি সচেতন হয়ে বিষয়টি গ্রামবাসীকে না জানালে তিনিও জানতেন না। ঘটনাস্থল রেলপথের বাঁক এলাকা বলে এ সময় ট্রেন চলাচল করলে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে যেত।
শমশেরনগর স্টেশন মাস্টার কবির আহমদ বলেন, আবুল হোসেনের সচেতনতায় একটি রেল দুর্ঘটনা থেকে বাঁচা গেল। তিনি খবর শুনে শ্রীমঙ্গলের রেলওয়ে গণপূর্ত বিভাগে অবহিত করলে তারা ভাঙা রেলপাত সরিয়ে নতুন একটি পাত স্থাপন করলে প্রায় এক ঘণ্টা পর ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
শ্রীমঙ্গল রেলওয়ে গণপূর্ত বিভাগের ঊর্ধ্বতন উপ-সহকারী প্রকৌশলী মনির হোসেন বলেন, এখন এ রেলপথ ঝুঁকিমুক্ত আছে। সময়মতো স্কুলছাত্র খবরটি না জানালে আসলেই একটি দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।