জুমবাংলা ডেস্ক : বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় চট্টগ্রামের (ইউএসটিসি) উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ। গত মঙ্গলবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ড. মো. ফরহাদ হোসেনের সই করা এক প্রজ্ঞাপনে তাকে চার বছরের জন্য নিয়োগ দেওয়া হয়।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা হওয়ার আগে গত বছর বাংলাদেশের শ্রম আইনে বিচার চলাকালে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন ড. গৌতম বুদ্ধ। বিতর্কিত ও আওয়ামীপন্থি এমন শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামে তোলপাড়
জানা গেছে, ড. গৌতম ২০১৪ থেকে ২০২২ সাল টানা ৮ বছর চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি অ্যান্ড অ্যানিমেল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ভিসি ছিলেন। সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী ও তার বাবা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর অত্যন্ত অনুগত ছিলেন তিনি।
গত বছর বাংলাদেশের শ্রম আইনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার জন্য তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আহ্বান জানিয়েছিলেন কয়েকজন নোবেল বিজয়ী, রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধি। ওইসময় ওই ঘটনায় উল্টো প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছিলেন দেশের ২০১ জন কৃষিবিদ। এই তালিকায় ৮ নম্বরে ছিলেন ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ।
আওয়ামীপন্থি এ শিক্ষককে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার পর থেকে চট্টগ্রামে তোলপাড় চলছে। তার নিয়োগ দ্রুত বাতিলের দাবি উঠেছে। নিয়োগের বিষয়টি জানাজানি হলে সিভাসুর শিক্ষক ও কর্মকর্তারা এর প্রতিবাদ জানান। কয়েকজন শিক্ষক তার দুর্নীতি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে স্ট্যাটাসও দেন।
এসব বিষয়ে জানতে চাইলে ড. গৌতম বুদ্ধ দাশ বলেন, সম্প্রতি একটি পদে নিয়োগ হওয়ার পর থেকে আমাকে নিয়ে অপপ্রচার শুরু হয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ উঠেছে সবই মিথ্যা। বিশেষ করে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে আমি কোনো দিন চিঠি দিইনি। আমার সই স্ক্যান করে সেখানে বসানো হয়েছে। তা ছাড়া আমি ওই সংগঠনের সঙ্গে জড়িত না।
সই স্ক্যান করে বসানো নিয়ে জানতে চাইলে সিভাসুর এক শিক্ষক বলেন, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে দেওয়া বিবৃতি ওই সময় তার নামসহ দেশের প্রায়ই গণমাধ্যমে এসেছে। সামাজিক মাধ্যমেও প্রচারিত হয়েছে। যদি তিনি সংগঠনটির সঙ্গে জড়িত না থাকতেন এবং তার সই যদি জাল ছিল, তাহলে তিনি প্রতিবাদ করেননি কেন?
তিন হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ জিল্লুল হাকিমের, দুদকের অনুসন্ধান
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।