বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সম্পদ দেড় কোটি টাকার। হাতে নগদ আছে ৬০ লাখ টাকা। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া হলফনামায় তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন।

ঢাকা-১৫ আসনের প্রার্থী হিসেবে তিনি মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।
হফলনামায় বলা হয়েছে, ডা. শফিকুর রহমানের বাবা মো. আবরু মিয়া, মাতা খাতিবুন্নেছা, বাসা-১৭, রোড়-২, পপুলার হাউজিং-১. বড়বাদ. মিরপুর।
কোনো ঋণ নেই। আয় রিটার্নে দেখানো সম্পদের পরিমাণ এক কোটি ৪৯ লাখ ৯৯ হাজার ৪৭৪ টাকা। আয় তিন লাখ ৬০ হাজার টাকা। আয়কর দিয়েছে ৩০ হাজার টাকা।
হলফনামায় আরও বলা হয়েছে, স্ত্রীর কোনো আয় নেই। তিন সন্তানের সবাইর আয় রয়েছে। সালওয়া সাফীর সম্পদ ৫ লাখ টাকা।
আয়কর দেননি। সাবরীন রাদী আয় ২৫ হাজার ১৭৯ টাকা। সম্পদের পরিমাণ ১৭ লাখ ৭৫ হাজার ১৭৯ টাকা। আয়কর দিয়েছে ৩ হাজার ৭৯৯ টাকা। রাফাত সাদিকের আয় ৬৬ হাজার ৬৬৭ টাকা, সম্পদ ৩০ হাজার টাকার, আয়কর দেননি।
শফিকুর রহমানের বিদেশে কোনো সম্পদ নেই। স্থাবর সম্পদের মধ্যে কৃষি জমি আছে ২১৭ শতক, মূল্য ১৭ লাখ ৭১ হাজার টাকা; অকৃষি জমি ১৩ শতক, মূল্য দুই লাখ ৫৪ হাজার ৮৩৪ টাকা; ১১ দশমিক ৭৭ শতকের একটি আবাসিক ভবন আছে, যেখানে ডুপ্লেক্স বাড়ি করা হয়েছে, মূল্য ধরা হয়েছে ২৭ লাখ টাকা। কৃষিখাত থেকে তার আয় তিন লাখ টাকা। অন্যান্য খাত থেকে আয় ৬০ হাজার টাকা।
অস্থাবর সম্পদের মধ্যে জামায়াতের আমিরের হাতে নগদ আছে ৬০ লাখ ৭৬ হাজার ৪৯৭ টাকা। ব্যাংকে আছে ৪ লাখ ৯০ হাজার ২৬৩ টাকা। বন্ড ঋণপত্র স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত ও তালিকাভুক্ত নয় এমন কোম্পানির শেয়ার আছে ২৭ লাখ ১৬ হাজার ৮৮০ টাকার, মোটরযান আছে চার লাখ ৫০ হাজার টাকার, আগ্নেয়াস্ত্র নেই, আসবাবপত্র আছে দুই লাখ ৪০ হাজার টাকার ও অলঙ্কার আছে এক লাখ টাকার। স্ত্রী আমেনা বেগম গৃহিণী, তার কোনো অর্থ সম্পদ নেই।
শফিকুর রহমানের নামে ৩৪টি মামলা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।


