জুমবাংলা ডেস্ক : মঙ্গলবার (২১ জুলাই) জনপ্রশাসন সচিবের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদফতরের বর্তমান মহাপরিচালক (ডিজি) অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ। তার পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর সবার মুখে মুখে এখন একটাই প্রশ্ন-কে হচ্ছেন স্বাস্থ্যের পরবর্তী মহাপরিচালক। অনলাইন পোর্টাল জাগো নিউজ২৪-এর সাংবাদিক মনিরুজ্জামান উজ্জ্বলের একটি প্রতিবেদনে এসব নিয়ে নানান তথ্য উঠে এসেছে।
সরকারি নিয়মনীতি অনুসারে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় থেকে স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের পদত্যাগপত্র প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হবে। তিনি পদত্যাগপত্র গ্রহণ করলে এই পদত্যাগ কার্যকর হবে।
ডা. আবুল কালাম আজাদ পদত্যাগপত্র জমা দেয়ার পর থেকেই মহাপরিচালক হিসেবে অনেকের নাম শোনা যাচ্ছে। জানা গেছে, স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের পদপ্রত্যাশী অনেকেই রয়েছেন। তবে বর্তমান মহামারি করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে তাদেরই কেউই এখন এ পদে দায়িত্ব নিতে রাজি নন।
স্বাস্থ্যখাতের সঙ্গে দীর্ঘদিন যারা জড়িত তাদের অনেকেই বলছেন, স্বাস্থ্যখাতের রন্ধ্রে রন্ধ্রে অনিয়ম ও দুর্নীতি ঢুকে গেছে। তাদের কথা, যত সৎ ও যোগ্য লোককেই স্বাস্থ্য মহাপরিচালকের পদে বসানো হোক না কেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে চিকিৎসকদের একাধিক নেতাদের গ্রুপিং, লবিং এবং সংঘবদ্ধ ঠিকাদার চক্রসহ নানা মহলের চাপে ও পদ্ধতিগত দুর্বলতার কারণে শেষ পর্যন্ত স্বাস্থ্য মহাপরিচালককে ব্যর্থতার দায় নিয়ে বিদায় নিতে হবে।
তবে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নতুন মহাপরিচালক হিসেবে অধিদফতরের মহাপরিচালক (শিক্ষা) অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন, অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানার নামই বেশি শোনা যাচ্ছে। এছাড়া আরও যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হলেন-স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. আবুল হাশেম খান, অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল ইউসুফ ফকির, সরকারের রোগতত্ত্ব, রোগনিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীরজাদি সেব্রিনা ফ্লোরা, ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব প্রিভেন্টিভ অ্যান্ড সোশ্যাল মেডিসিনের (নিপসম) পরিচালক অধ্যাপক ডা. বায়েজিদ খুরশীদ রিয়াজ, মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. টিটু মিয়া, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. শামীম হাসান, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. খান আবুল কালাম আজাদ।
তবে স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা বলছেন, স্বাস্থ্য মহাপরিচালক কে হবেন তা নির্ভর করছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছার ওপর।
সমালোচনার মুখে থাকা স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক আবুল কালাম আজাদ মঙ্গলবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
চাকরির নির্ধারিত মেয়াদ শেষে ২ বছরের চুক্তিতে রয়েছেন আবুল কালাম। আগামী বছরের ১৪ এপ্রিল তার সেই চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (প্রশাসন) থাকার সময় ২০১৬ সালের ২১ আগস্ট অধ্যাপক আজাদকে ডিজি নিয়োগ দিয়ে আদেশ জারি করা হয়। ওই বছরের ১ সেপ্টেম্বর স্বাস্থ্য অধিদফতরের শীর্ষ পদে যোগ দেন তিনি। গত বছরের ১৪ এপ্রিল তার চাকরি মেয়াদ শেষ হয়। এরপরই চুক্তিতে নিয়োগ পান তিনি।
করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ শুরু হলে চিকিৎসা কার্যক্রমসহ নানা বিষয় নিয়ে সমালোচিত হন ডিজি আবুল কালাম আজাদ। এন-৯৫ মাস্কের মোড়কে বিভিন্ন হাসপাতালে সাধারণ মাস্ক সরবরাহ কেলেঙ্কারির ঘটনায় সমালোচিত হন ডিজি। সর্বশেষ স্বাস্থ্য অধিদফতরের সঙ্গে চুক্তি করা রিজেন্ট হাসপাতালের ভুয়া করোনা সনদ নিয়ে বেকায়দায় পড়েন আবুল কালাম আজাদ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।