ডিজিটাল হেলমেটে মদ পান করে বাইক চালানো যাবে না, উঠলেই বন্ধ

ডিজিটাল হেলমেটে মদ পান করে বাইক চালানো যাবে না, উঠলেই বন্ধ
জুমবাংলা ডেস্ক : মদ বা কোনো অ্যালকোহল পান করে ডিজিটাল হেলমেট মাথায় দিয়ে বাইক স্টার্ট নেবে না। এ ছাড়া বাইকের বেপরোয়া গতি রোধ করবে ডিজিটাল হেলমেট।

 ডিজিটাল হেলমেটে মদ পান করে বাইক চালানো যাবে না, উঠলেই বন্ধ

পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের তৃতীয় পর্বের ছাত্র মো. সালাউদ্দিন, মো. মিরাজ উদ্দিন শিহাব, মো. মনির খান, মেন্টর. মো. রাসেল ইসলাম আবিষ্কার করেন এই ডিজিটাল হেলমেট। শনিবার (১৭ জুন ) সকালে পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট মাঠে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট আয়োজিত এসেট প্রকল্পের অর্থায়নে অনুষ্ঠিত প্রদর্শনীতে এই হেলমেটের দেখা মেলে।

পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের খণ্ডকালীন (টেক) শিক্ষক মো. রাসেল ইসলাম এ কাজে সার্বিক সহযোগিতায় করেছেন।

পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের ছাত্র মো. সালাউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের দেশে প্রচুর পরিমাণ বাইক দুর্ঘটনা হয়। বাইক রাইডারদের নিরাপত্তা প্রদানই আমাদের প্রজেক্টের মূল উদ্দেশ্য। বেশির ভাগ মোটরসাইকেলচালক হেলমেট পরতে অনাগ্রহী।

তাই তাদের জন্য আমরা এই ডিভাইস তৈরি করেছি।’
এই ডিজিটাল হেলমেট বাইকের গতি নিয়ন্ত্রণ করবে। সামনে থেকে কোনো গাড়ি আসছে কি না তা সিগন্যাল দেবে। মদ বা অ্যালকোহল পান করে বাইক রাইডাররা বেপরোয়াভাবে বাইক রাইট করে, যার ফলে দুর্ঘটনা হয়।

এই হেলমেটে এমন ডিভাইস সংযুক্ত আছে যাতে মদ পান করে বাইকে উঠলে বাইক স্টার্ট হবে না বলে জানান সালাউদ্দিন।তিনি আরো বলেন, ‘এই স্মার্ট হেলমেট তৈরি করতে হেলমেট ব্যতীত ২৫০ টাকা খরচ পড়বে। আমরা আর্থিক সহায়তা পেলে বাণিজ্যিকভাবে এটি তৈরি করব।’

পাবনা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ মো. আতিকুর রহমান বলেন, ‘এ ধরনের প্রকল্পে আমাদের বাজেট খুব কম, তাই ইচ্ছা থাকলেও ছাত্রদের বেশি আর্থিক সহায়তা করতে পারছি না।’

পাবনার ডায়মন্ড স্টিলের প্রপাইটার মো. আবু তালেব বলেন, যেকোনো খাত থেকে অর্থ সংগ্রহ করে এসব তরুণকে সহায়তা করা প্রয়োজন।