জুমবাংলা ডেস্ক : সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান বলেছেন, আমরা নির্বাচনের দিকেই ধাবিত হচ্ছি, ১৮ মাসের কথা বলেছিলাম। ডিসেম্বরের মধ্যে একটা সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করছি।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) জাতীয় শহীদ সেনা দিবসে রাওয়া ক্লাবে আয়োজিত ফটো এক্সিবিশনে তিনি এ কথা বলেন।
সেনাপ্রধান বলেন, পরিষ্কার করে বলতে চাই। আমার অন্য কোনো আকাঙ্ক্ষা নাই। একটাই আকাঙ্ক্ষা, দেশ ও জাতিকে সুন্দর জায়গায় রেখে সেনা নিবাসে ফেরত আসব।
তিনি বলেন, পুলিশ সদস্য কাজ করছে না। কারণ, তাদের অনেকেই জেলে। র্যাব, বিজিবি প্যানিকড। দেশের শান্তিরক্ষার দায়িত্ব শুধু সেনাবাহিনীর না। আনসার বাহিনী আছে। ৩০ হাজার সেনাবাহিনী সদস্য নিয়ে আমরা কীভাবে করব?
ওয়াকার-উজ-জামান বলেন, হানাহানি না করে দেশ ও জাতির দিকে খেয়াল করে এক থাকতে হবে। নিজেরা কাদা-ছোড়াছুড়ি করলে দেশ ও জাতির সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হবে। আমি সতর্ক করে দিচ্ছি, পরে বলতে পারবেন না যে সতর্ক করিনি।
সেনাবাহিনীর ওপর আক্রমণ না করার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, সেনাবাহিনী এবং সেনাপ্রধানের প্রতি কারও কারও বিদ্বেষ থাকার কারণ জানি না। আমাদের সাহায্য করেন, উপদেশ দেন। আমরা এক থাকতে চাই, দেশ ও জাতিকে আমরা রক্ষা করতে চাই।
পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ৫৭ জন চৌকস সেনাকে আমরা হারিয়েছি। এই বিচারের প্রক্রিয়াকে নষ্ট করবেন না। বাইরের ও রাজনৈতিক শক্তি এটার সঙ্গে জড়িত কি না, তা খুঁজে বের করে আনবেন। এটাকে যারা ভিন্নখাতে প্রভাবিত করছেন তা কখনও মঙ্গল বয়ে আনবে না।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন বাংলাদেশের দুইজন সেনাপ্রধান
তিনি বলেন, বিন্দুমাত্র ছাড় নাই, ডিসিপ্লিন ফোর্সকে ডিসিপ্লিন থাকতে দেন। এই দেশের সবকিছু ভেঙে পড়লেও সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী টিকে আছে কারণ তাদের মধ্যে ডিসিপ্লিন আছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।