লাইফস্টাইল ডেস্ক: রাজধানী ঢাকাসহ গোটা দেশেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে। প্রতিদিনই নতুন করে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। এ কারণে এই জ্বর নিয়ে মানুষের উদ্বেগ বাড়ছে।
সাধারণত কিছু উপসর্গের মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন-
১. সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। এই জ্বরে তাপমাত্রা ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেবার পর আবারো জ্বর আসতে পারে। শরীরে নানা জায়গা ব্যথা, মাথাব্যথা, চেখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ (র্যা শ) হতে পারে। তবে এবার এসব না থাকলেও ডেঙ্গু জ্বর হচ্ছে।
২. চিকিৎসকরা বলছেন, এখন যেহেতু ডেঙ্গুর সময়, সেজন্য জ্বর হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।
চিকিৎসকরা আরও বলছেন, জ্বর হলে পর্যাপ্ত বিশ্রামে থাকতে হবে।পরিশ্রম করা যাবে না।
তারা বলছেন, জ্বর হলে প্রচুর পরিমাণে তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে। বিশেষ করে ডাবের পানি, লেবুর শরবত, ফলের জুস এবং খাবার স্যালাইন খেতে হবে।
৩. ডেঙ্গু জ্বরে প্যারাসিটামল ছাড়া আরে কোনও ওষুধ না খাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
চিকিৎসকরা বলছেন, প্যারাসিটামলের সর্বোচ্চ ডোজ হচ্ছে প্রতিদিন চার গ্রাম। তবে কোন ব্যক্তির যদি লিভার, হৃদরোগ এবং কিডনি সংক্রান্ত জটিলতা থাকে, তাহলে প্যারাসিটামল সেবনের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
৪. বিশেষজ্ঞদের মতে, ডেঙ্গু জ্বরের তিনটি ভাগ রয়েছে। এগুলো হচ্ছে, ‘এ’, ‘বি’ এবং ‘সি’।
এর মধ্যে প্রথম ক্যাটাগরির রোগীদের শুধু জ্বর থাকে। অধিকাংশ ডেঙ্গু রোগী ‘এ’ ক্যাটাগরির।তাদের হাসপাতালে ভর্তি হবার কোন প্রয়োজন নেই। ‘বি’ ক্যাটাগরির ডেঙ্গু রোগীদের সবই স্বাভাবিক থাকে, কিন্তু শরীরে কিছু লক্ষণ প্রকাশ পায়। যেমন-পেটে ব্যথা, বমি এবং কিছু খেতে না পারার সমস্যা।
অনেক সময় দেখা যায়, দুইদিন জ্বরের পরে শরীর ঠাণ্ডা হয়ে যায়। এক্ষেত্রে হাসপাতাল ভর্তি হওয়াই ভালো।
‘সি’ ক্যাটাগরির ডেঙ্গু জ্বর সবচেয়ে খারাপ। কিছু কিছু ক্ষেত্রে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্র বা আইসিইউ’র প্রয়োজন হতে পারে।
৫. সাধারণত জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থাকে। কারণ এ সময়টিতে এডিস মশার বিস্তার ঘটে।
৬. ডেঙ্গু জ্বরের জন্য দায়ী এডিস মশা অন্ধকারে কামড়ায় না। সাধারণত সকালের দিকে এবং সন্ধ্যার কিছু আগে এডিস মশা তৎপর হয়ে উঠে। এডিস মশা কখনো অন্ধকারে কামড়ায় না।
৭. বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যেহেতু ডেঙ্গু রোগের কোনও প্রতিষেধক নেই এ কারণে প্রতিরোধই সবচেয়ে উত্তম পন্থা।
তারা বলছেন, এডিস মশা সাধারণত স্বচ্ছ পানিতে ডিম পাড়ে। কোথাও যাতে তিন থেকে পাঁচদিনের বেশি জমা না থাকে সেদিকে লক্ষ্য রাখুন। বাড়ির ছাদ ,বারান্দার ফুলের টব, নির্মাণাধীন ভবনের বিভিন্ন পয়েন্টে, রাস্তার পাশে পড়ে থাকা টায়ার কিংবা অন্যান্য পাত্রে জমে থাকা পানিতে এডিস মশা বংশবিস্তার করে। এ কারণে নিজের ঘর পরিষ্কারের পাশাপাশি আশেপাশের জমা থাকা পানিও পরিষ্কার করুন। সূত্র : বিবিসি বাংলা
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।