যেহেতু এআই উন্নত হচ্ছে, তাই একে চালানোর জন্য শক্তির চাহিদাও বাড়ছে, বিশেষ করে যখন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো পারমাণবিক ও কোয়ান্টাম কম্পিউটিং প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াচ্ছে। ট্রাম্পের বেসরকারীকরণের প্রতি আগ্রহ প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে (যেমন স্পেসএক্স, গুগল বা মেটা) স্বাধীন শক্তি অবকাঠামো নির্মাণে উৎসাহিত করবে। এসবের মধ্যে পারমাণবিক সুবিধাও অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা পারমাণবিক সম্পদের ওপর করপোরেট খাতের আরও নিয়ন্ত্রণ এনে দেবে।
শক্তির পরিবর্তন: কিছু পারমাণবিক শক্তি বেসরকারি নিয়ন্ত্রণে থাকলে কোম্পানিগুলো রাষ্ট্রের সম্পদের ওপর নির্ভর না করেই এআই ও কোয়ান্টাম প্রযুক্তির প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে সক্ষম হবে, যা তাদের স্বায়ত্তশাসনকে শক্তিশালী করবে।
ডেটা কেন্দ্রের আধিপত্য: শক্তি নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে, প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের নিজস্ব অবকাঠামোগত চাহিদাকে অগ্রাধিকার দিতে পারে। যদি শীর্ষ প্রযুক্তি নেতারা ডেটাকেন্দ্রগুলোর জন্য শক্তি নিয়ন্ত্রণ করেন, তবে তাঁরা কার্যত ডিজিটাল ইকোসিস্টেমের একটি বড় অংশ শাসন করবেন। ডেটা ও ইন্টারনেট পরিষেবায় প্রবেশাধিকার করপোরেট স্বার্থে নিয়ন্ত্রিত হবে।
অভিভাবকদের বুঝতে হবে কোন প্রতিষ্ঠান কীভাবে আপনার সন্তানের অ্যাপ ও যন্ত্র নিয়ন্ত্রণ করে। অ্যাপের চাওয়া অনুমতি সীমিত করতে হবে। যেহেতু গোপনীয়তা আইন শিথিল হচ্ছে, অ্যাপগুলো আরও বেশি ডেটা ব্যবহারের অনুমতি চাইতে পারে। সন্তানের ডিজিটাল পদচিহ্ন রক্ষা করতে এবং তার আচরণ অনুসরণ করা কমাতে নিয়মিত সেটিংস ঠিক করতে হবে। সন্তানকে ডিজিটাল মাধ্যম সম্পর্কে সমালোচনামূলক চিন্তা করতে শেখাতে হবে।
প্রযুক্তি ও গোপনীয়তা নীতিগুলোর বিষয়ে হালনাগাদ থাকতে অভিভাবক-শিক্ষক সমিতি ও শিক্ষামূলক নেটওয়ার্কগুলোর সঙ্গে যুক্ত হোন, যাতে নিশ্চিত করা যায় যে করপোরেশনগুলো নৈতিকতার অনুশীলনে দায়বদ্ধ থাকে। আমরা এমন একটি যুগে প্রবেশ করছি, যেখানে বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো শাসকের মতো প্রভাব ফেলতে পারে।
এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় ডিজিটাল সাক্ষরতা, গোপনীয়তার অধিকার এবং শিশু-সুরক্ষার নীতির পক্ষে সমর্থন জানিয়ে, অভিভাবকেরা সক্রিয়ভাবে একটি ডিজিটাল পরিবেশ গঠন করতে পারেন, যা তাঁদের সন্তানদের অনলাইনে সুরক্ষিত রাখবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।