আজ (১১ এপ্রিল, শুক্রবার) বিকেল ৪টা ৫২ মিনিটে ঢাকাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ৪.০ মাত্রার একটি ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। যদিও কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি, তবে রাজধানীর উচ্চ ভবনগুলোতে এই কম্পন তীব্রভাবে অনুভূত হয়, ফলে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। earthquake Dhaka তথা “ঢাকায় ভূমিকম্প” এখন সামাজিক মাধ্যমে আলোচনার কেন্দ্রে।
ঢাকায় ভূমিকম্প: সর্বশেষ তথ্য ও বিস্তারিত
ইউরোপীয়-ভূমধ্যসাগরীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (EMSC) ও ভারতের জাতীয় ভূকম্পন কেন্দ্র (NCS) জানিয়েছে, ভূমিকম্পটির উৎপত্তিস্থল ছিল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে, কুমিল্লা শহর থেকে ৬৮ কিলোমিটার উত্তরে এবং ভারতের আগরতলা শহর থেকে ২৬ কিলোমিটার উত্তরে। ভূকম্পনের গভীরতা ছিল মাত্র ১০ কিলোমিটার, যা অপেক্ষাকৃত কম এবং সাধারণত তীব্র অনুভূত হয়।
Table of Contents
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ ও গবেষণা কেন্দ্র জানায়, তাদের আগারগাঁও সিসমিক সেন্টার থেকে ১০৫ কিলোমিটার পূর্ব-উত্তর-পূর্বে ছিল এই ভূমিকম্পের কেন্দ্রবিন্দু। আবহাওয়া অধিদপ্তর নাগরিকদের সতর্ক থাকতে বললেও আতঙ্কিত না হওয়ার পরামর্শ দিয়েছে।
বাংলাদেশে ভূমিকম্পের ইতিহাস ও প্রাসঙ্গিকতা
বাংলাদেশ একটি ভূকম্পন-প্রবণ অঞ্চলে অবস্থিত। আজকের earthquake Dhaka তুলনামূলকভাবে ছোট ছিল, তবে এটি আবারও স্মরণ করিয়ে দিল যে আমরা একটি ভূকম্পন ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বাস করছি। গত ২৮ মার্চ, মিয়ানমার ও থাইল্যান্ডে সংঘটিত ৭.৭ মাত্রার ভূমিকম্পের প্রভাবও ঢাকায় অনুভূত হয়েছিল, যেখানে কয়েক হাজার মানুষ হতাহত হয়।
ঢাকায় দিনে দিনে উচ্চ ভবনের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। নিরাপদ নির্মাণকাঠামো ও বিল্ডিং কোড অনুযায়ী স্থাপনা নির্মাণ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। ভূমিকম্প সহনশীল ভবন নির্মাণে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও নির্মাণ সংস্থাগুলোকে আরও সচেতন হতে হবে।
ভূমিকম্প পরবর্তী জনগণের প্রতিক্রিয়া
আজকের ভূমিকম্প অনুভব করার পর ঢাকার বিভিন্ন অফিস, বাসা-বাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে লোকজন দ্রুত বাইরে বেরিয়ে আসে। অনেকেই সামাজিক মাধ্যমে নিজেদের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন। যদিও কম্পন কয়েক সেকেন্ডের বেশি স্থায়ী হয়নি, তবুও আতঙ্ক ও উদ্বেগ দীর্ঘ সময় ধরে রয়ে যায়।
আবার অনেকেই ভূমিকম্প পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে অনিশ্চয়তায় ভুগেন, যা দেখায় যে জরুরি প্রস্তুতির গুরুত্ব কতটা বেশি। জাতীয় খবরের বিভাগে এই ঘটনার বিস্তারিত উঠে এসেছে।
ভূমিকম্পকালীন ও পরবর্তী করণীয়
- নিচে শুয়ে পড়ুন যাতে হঠাৎ পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি কমে।
- মাথা ও ঘাড় ঢেকে রাখুন মজবুত আসবাবপত্রের নিচে আশ্রয় নিয়ে।
- ধরে রাখুন যতক্ষণ না কম্পন থেমে যায়।
ভূমিকম্প থেমে যাওয়ার পর গ্যাস, বিদ্যুৎ ও পানির লাইনে কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করুন। ক্ষতিগ্রস্ত ভবনে প্রবেশ করবেন না এবং নির্ভরযোগ্য সূত্র থেকে তথ্য জেনে নিন।
আজকের এই ছোট ভূমিকম্প ‘earthquake Dhaka’ আমাদেরকে স্মরণ করিয়ে দেয় – দুর্যোগ কোনো পূর্ববার্তা দেয় না। সচেতনতা ও প্রস্তুতিই হতে পারে সবচেয়ে বড় রক্ষাকবচ।
প্রশ্নোত্তর: ভূমিকম্প ঢাকা
আজকের ভূমিকম্পের মাত্রা কত ছিল?
৪.০ মাত্রার ভূমিকম্প ছিল, যা ঢাকাসহ আশপাশে অনুভূত হয়।
ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল কোথায় ছিল?
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে, কুমিল্লার ৬৮ কিমি উত্তরে ও আগরতলার ২৬ কিমি উত্তরে।
এই ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে কি?
না, এখন পর্যন্ত কোনো হতাহত বা ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
ঢাকায় কি প্রায়ই ভূমিকম্প হয়?
ছোট ছোট কম্পন মাঝেমধ্যে অনুভূত হয়, তবে বড় ভূমিকম্প তুলনামূলকভাবে বিরল।
ভূমিকম্পের সময় কী করণীয়?
নিচে পড়ুন, মাথা ঢেকে রাখুন ও নিরাপদ আশ্রয়ে থাকুন যতক্ষণ না কম্পন থেমে যায়।
বাংলাদেশ ভূমিকম্পের জন্য কতটা প্রস্তুত?
সরকার ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলো নগর পরিকল্পনা ও সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে প্রস্তুতি নিচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।