জুমবাংলা ডেস্ক:হেফাজতে ইসলামের ডাকা হরতালের সমর্থনে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। সড়কের কয়েকটি স্থানে টায়ার, গাছের গুঁড়ি ও বাঁশে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করছেন তারা। এতে পূর্বাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সকাল সাড়ে ১০টায় সানারপাড় ও সাইনবোর্ড এলাকায় হেফাজত নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশ হরতাল সমর্থকদের ছত্রভঙ্গ করতে টিয়ারশেল এবং ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে একজন গুলিবিদ্ধসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাইনবোর্ডের কাঁচপুর এলাকায় দুইটি ট্রাক, একটি বাস ও একটি কাভার্ড ভ্যানসহ পাঁচটি গাড়িতে আগুন দিয়েছে হরতালের সমর্থকরা।
এদিন সকালে নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে হরতাল সমর্থকরা। এ সময় বন্ধ হয়ে যায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের যান চলাচল। পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয় ও আগুন নিভিয়ে যানবাহন চলাচল শুরু করে। তবে এর কিছুক্ষণ পর আবারো অশান্ত হয়ে ওঠে পুরো এলাকা। এক পর্যায়ে সড়কের যানবাহন ভাঙচুর ও আগ্নিসংযোগ করে বিক্ষোভকারীরা। এ সময় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে তাদের দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
হরতালের সমর্থনে সকাল থেকেই নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জের মৌচাক এলাকায় জড়ো হতে থাকেন হেফাজতের নেতা-কর্মীরা। এরপর হরতালের সমর্থনে মিছিল করে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের শিমরাইল এলাকায় অবস্থান নেয় তারা। এ সময় মহাসড়কে বেশ কয়েকটি স্থানে টায়ারে আগুন ধরিয়ে এবং রাস্তায় ইট বিছিয়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরে পুলিশ এসে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলে রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।
পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ডিআইটি, চাষাঢ়া, সাইনবোর্ড, শিমরাইলসহ বিভিন্ন এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। পুলিশের পাশাপাশি আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা।
ঢাকা, চট্টগ্রাম ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় নেতাকর্মী ও প্রতিবাদী মুসল্লিদের হত্যা ও হামলার প্রতিবাদে আজ রবিবার (২৮ মার্চ) সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ঘোষণা দিয়েছে সংগঠনটি। গত শুক্রবার রাতে পুরানা পল্টনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের কেন্দ্রীয় নায়েবে আমির আবদুর রব ইউসুফী এ ঘোষণা দেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।