জুমবাংলা ডেস্ক: ঢাকা মহানগর উত্তর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি ইব্রাহিম হোসেনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত মোতাবেক জানানো যাচ্ছে যে, মো. ইব্রাহিম হোসেনকে (সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর) তার নিজ পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হল। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সজীব আহমেদ (সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর উত্তর) এ শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করবেন।
সূত্রে জানা গেছে, প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশনাতেই ইব্রাহিম হোসেনকে অব্যাহতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আজ সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোর এক যৌথসভা শেষে দায়িত্বশীল নেতাদের এ নির্দেশনার কথা জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে বিষয়টি অবহিত করে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেন তিনি।
এদিকে সূত্র জানিয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সফরসঙ্গী হিসেবে জলবায়ু সম্মেলনে গিয়েছিলেন ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহিম হোসেন। ১৪ নভেম্বর তাকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দর এলাকায় অবস্থান নেয় তার সমর্থকরা। এতে বিমানবন্দর সড়কে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। যানজটের কারণে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের হলে পৌঁছাতে বেশ বেগ পোহাতে হয়।
ছাত্রলীগের একজন কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নাম প্রকাশ না করার শর্তে একই কথা বলেন। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরার দিন ইব্রাহিমের সমর্থকরা ঢাকার যানজটপূর্ণ রাস্তায় গণ জমায়েত মতো করে। এদিন এসএসসি পরীক্ষা ছিল। যানজটের কারণে অনেক পরীক্ষার্থী যথাসময়ে উপস্থিত হতে পারেনি। এটা নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ হয়। তার জেরে তাকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যকে ফোন দেওয়া হলে তারা রিসিভ করেননি।
এদিকে এই ছাত্রলীগ নেতাকে বহিষ্কার নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ছাত্রলীগের বিভিন্ন ইউনিটের নেতারা বলছেন, কর্মীদের অতিরিক্ত তেলবাজির কারণেই এমনটি হয়েছে।
মুজাহিদুল ইসলাম সোহাগ নামে ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ফেসবুকে লিখেছেন, নেতার সবচেয়ে বড় ক্ষতিটা করে নেতার চামচাগুলা। এজন্য নেতাকে অনেক ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত। মনে রাখতে হবে, যে রাজনীতি করার লোক, সে কখনও চমচাগিরি করতে পছন্দ করবে না।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।