ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে প্রথম দিন ঢাকা বিভাগের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৩ রান করেছিলেন ওপেনার রনি তালুকদার। তাইবুর রহমান ১২ ও নাজমুল ইসলাম শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন। তারপরও দ্বিতীয় দিন ঢাকা বিভাগের গুটিয়ে যাওয়া সময়ের ব্যাপার ছিলো। কারন হাতে ছিল মাত্র ৩ উইকেট। কিন্তু দ্বিতীয় দিন ব্যাট হাতে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেন তাইবুর। টেল-এন্ডারদের নিয়ে দলের স্কোর ২শ অতিক্রম করান তিনি। নিজে করেন হাফ-সেঞ্চুরি।
ব্যাট হাতে দক্ষতা দেখিয়েছেন দশ নম্বর ব্যাটসম্যান সুমন খান। তাইবুরকে সহায়তা করতে উইকেটে টিকে থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করেন সুমন। শেষ পর্যন্ত ২৪০ রান পর্যন্ত যেতে পারে ঢাকা বিভাগ। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে ৫ রান করেন সুমন। ১২৩ বলে ৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ৮৮ রানে অপরাজিত থাকেন তাইবুর। তাইজুল ৪টি ও শফিউল ৩টি উইকেট নেন।
এরপর ব্যাট হাতে বিপর্যয়ে পড়ে রাজশাহী বিভাগ। ১৪ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে তারা। ওপেনার মিজানুর রহমান ১, জুনায়েদ সিদ্দিকী ২ ও অভিষেক মিত্র ৬ রান করে আউট হন। ১২ ওভারের মধ্যে ৩ উইকেট হারানোর পর দলকে লড়াই ফেরানোর চেষ্টা করে সফলই হয়েছেন অধিনায়ক জহিরুল ইসলাম ও বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। চতুর্থ উইকেটে ১২১ রানের জুটি গড়েন তারা। দুজনই হাফ-সেঞ্চুরিতে পা রাখেন।
৭৫ রানে থাকা মুশফিককে বিদায় দিয়ে এই জুটি ভাঙ্গেন ঢাকা বিভাগের অধিনায়ক শুভাগত হোম। ১১৬ বলে ৭টি চার ও ৩টি ছক্কায় এই ইনিংস গড়েন মুশফিক। দলীয় ১৩৫ রানে মুশফিকের বিদায়ের পরপরই দ্রুত আরও দুই উইকেট হারায় রাজশাহী। সাব্বির রহমান ১১ ও উইকেটরক্ষক সাকির হোসেন ৪ রান করে আউট হন। এরপর ফরহাদ রেজাকে নিয়ে দিনের খেলা শেষ করেন অধিনায়ক জহিরুল ইসলাম। জহিরুল ৪টি চারে ১৮৯ রানে ৫৭ ও রেজা ১৪ রানে অপরাজিত আছেন। ঢাকা বিভাগের সুমন খান ৪০ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।