পাই-এর মান লিখে বিশ্ব রেকর্ডের অপেক্ষায়
জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক জুড়ে বিশ্বের দীর্ঘতম দৈর্ঘ্যে ‘পাই’য়ের মান লেখা হয়েছে বলে দাবি জানিয়েছেন ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, বিশ্বে এর আগে এত বড় পাইয়ের মান লেখার রেকর্ড নেই। আমরা খুবই আশাবাদী যে আমাদের এই কাজ বিশ্ব রেকর্ডের অন্তর্ভুক্ত হবে। ইতোমধ্যে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য আবেদন করা হয়েছে বলে জানায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। এই কাজে ২৫০ জন ভলান্টিয়ার অংশগ্রহণ করেন।
সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত ভবন, শহিদ মিনার, জগন্নাথ হল, ফুলার রোড, স্মৃতি চিরন্তন চত্বর, টিএসসি ও কাজী মোতাহার হোসেন ভবনসংলগ্ন ক্যাম্পাস সড়কে প্রায় ৩ দশমিক ১৪ কিলোমিটার জুড়ে ‘পাই’য়ের মান লেখা হয়েছে।
এ প্রসঙ্গে ফলিত গণিত বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. শওকত আলী বলেন, কোনো গবেষণায় এখন পর্যন্ত ‘পাই’য়ের মান নির্দিষ্ট করতে পারে নাই। ২০১৯ সাল থেকে ইউনেসকো কর্তৃক পাই দিবস পালিত হয়ে আসছে। ফলিত গণিত বিভাগের উদ্যোগে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মতিক্রমে পাই-এর মান লেখা কর্মসূচি গ্রহণ করি। যেহেতু এখন ২০২৩ সাল, তাই আমরা ২০২৩টি ডিজিট দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক জুড়ে ‘পাই’য়ের মান লিখি।
শিক্ষার্থীরা যেন পাই সম্পর্কে আরো বেশি কৌতূহলী হয়, তারা যেন শেখার আগ্রহ পায়, সেজন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা প্রায় জিজ্ঞাস করে যে ‘পাই’য়ের মান কেন নির্দিষ্ট নয়। ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করার জন্য যে ধরনের ক্রাইটেরিয়া থাকে, সেগুলো পূরণ করার জন্য আমরা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি। ইতিমধ্যে ড্রোন ক্যামেরার মাধ্যমে আমাদের পুরো কাজের ভিডিও ধারণ করেছি। আমরা আশাবাদী যে, আমাদের এই কাজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করবে।
ফলিত গণিত বিভাগের এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘পাই’ দিবস স্মরণীয় করে রাখার জন্য এটি এক নতুন চেষ্টা আমাদের। সিটি করপোরেশন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সর্বোচ্চ সাহায্য করেছে এ কাজে। আমাদের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা এটি দেখে ‘পাই’ সম্পর্কে জানার জন্য আরো বেশি কৌতূহলী হবে। আমরা আশাবাদী আমাদের এ কাজ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড করবে।
এ প্রসঙ্গে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, এটি পুরস্কার আনুক বা না আনুক, সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এরকম একটি উদ্যোগ আমাদের শিক্ষার্থীরা গ্রহণ করেছেন। উদ্যোগ গ্রহণ করতে পারাটাই প্রশংসনীয়। এটি আমাদের শিক্ষার্থীদের সৃজনশীল উদ্ভাবনীমূলক দৃষ্টিভঙ্গি। এটি ভবিষ্যতে তাদের আরো বড় কোনো উদ্যোগ গ্রহণে সাহস দেবে। এরকম উদ্যোগ যদি অব্যাহত রাখা যায়, তবে শিক্ষার্থীদের উদ্ভাবনী শক্তি বাড়বে এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মান বাড়বে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।