জুমবাংলা ডেস্ক : পাওনা টাকা চাওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলের ক্যান্টিনের মালিককে পেটানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে এক ছাত্রলীগ নেতার বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার সকালে হলের ৩২২ নম্বর রুমে ডেকে ক্রিকেট স্ট্যাম্প দিয়ে পিটিয়ে ক্যান্টিন মালিক শাহাবুদ্দিনকে আহত করা হয়।
পরে আবার ক্যান্টিনে গিয়ে শাহাবুদ্দিনকে না পেয়ে ক্যান্টিনের ফ্যান ভাংচুর এবং শিক্ষার্থীদের ভেতরে রেখে ক্যান্টিনে তালা লাগিয়ে দেন ওই ছাত্রলীগ নেতা।
অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতা হলেন হল শাখা ছাত্রলীগের তথ্য ও প্রযুক্তিবিষয়ক উপ-সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ ইমন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন হলটির প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. জিয়া রহমান। তিনি বলেন, ঘটনা শুনে আবাসিক শিক্ষকদের নিয়ে ক্যান্টিনে গিয়ে এর সত্যতা পেয়েছি। সে ক্যান্টিন মালিককে পিটিয়েছে এবং ফান ভেঙেছে। আবাসিক শিক্ষক, হল সংসদ ও ঘটনায় জড়িতদের নিয়ে মিটিং করেছি। ইতিমধ্যে এ ঘটনায় অধ্যাপক ড. আফজালের নেতৃত্বে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে কমিটিকে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। প্রতিবেদন পেলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের ২০১৫-১৬ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র খালিদ হাসান রবিন ক্যান্টিন থেকে ৩ হাজার ৪২০ টাকা বাকি খেয়েছেন। এই টাকা চাইলে রবিন ক্যান্টিন মালিককে ছাত্রলীগ নেতা ইমনের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। ক্যান্টিন মালিক ৩২২ নম্বর রুমে দেখা করতে গেলে ইমন তাকে স্টাম্প দিয়ে পেটান এবং শাসিয়ে দেন।
মারধরের শিকার হয়ে শাহাবুদ্দিন কোনো কিছু না বলে হলের বাইরে চলে যান। পরে ২য় দফায় মারার জন্য ক্যান্টিনে গেলে শাবুদ্দিনকে না পেয়ে লাথি দিয়ে একটি ফ্যান ভেঙে ফেলেন ওই ছাত্রলীগ নেতা। ভেতরে শিক্ষার্থীদের রেখে তালা লাগিয়ে দেন ক্যান্টিনের দরজায়।
মারধরের বিষয়ে ক্যান্টিন মালিক শাহাবুদ্দিন বলেন, আমি কিছুই বলিনি। মার খেয়ে চলে এসেছি।
হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল্লাহ আল মাসুদ লিমন বলেন, অপ্রত্যাশিত একটি ঘটনা ঘটেছে। এটা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা তার বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেব।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস বলেন, ঘটনার সত্যতা পেলে তাকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি পেতে হবে। ছাত্রলীগের নামে অন্যায়-অপকর্ম করে কেউ পার পাবে না। সূত্র : যুগান্তর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।