জুমবাংলা ডেস্ক: কোনোপ্রকার পূর্ব নোটিশ ছাড়াই পূজার বন্ধের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো. আব্দুর রাজ্জাক খান ও সহযোগী অধ্যাপক খুরশেদ আলমের কক্ষে তালা দিয়েছে কলা অনুষদ কতৃপক্ষ।
এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষকরা। গতকাল শনিবার, ৮ অক্টোবর কলা অনুষদের লেকচার থিয়েটার ভবনে বরাদ্দ করা কক্ষে গিয়ে অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাক দেখেন তার তালাবদ্ধ কক্ষে আরো একটি তালা ঝুলছে। পাশে লাগানো একটি নোটিশে বলা হয়েছে ‘স্পেস বরাদ্দ কমিটির ২১/০৭/ ২০২২ তারিখের সিদ্ধান্ত অনুসারে কলা অনুষদের জন্য সংরক্ষিত কক্ষ’।
একই নোটিশ দেখা যায় সহযোগী অধ্যাপক খুরশেদ আলমের কক্ষের দরজায়ও।
এ বিষয়ে আব্দুর রাজ্জাক খান বলেন, আমি গতকাল (শনিবার) অফিসে গিয়েছিলাম কিছু প্রয়োজনীয় বই নিতে। গিয়ে দেখি রুমে আমার লাগানো তালার উপরে আরেকটি তালা ঝুলানো। একটি নোটিশও সেখানে লাগানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, ২১ জুলাইয়ের সীদ্ধান্ত মোতাবেক এই কক্ষটি কলা ভবনের। সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে এই বিষয়টি জানানো হলে তিনি এই বিষয়টি ঠিক হয়নি বলে জানিয়েছেন। পরে কলা অনুষদের ডিনকে ফোন করলে তিনি জানান, “এই বিষয়টি উচিত হয়নি। বিকেল তিনটার পর এসে আপনার রুম খুলে দেওয়া হবে। ” কিন্তু ততক্ষণে আমি বাসায় চলে আসি।
তিনি আরো বলেন, আমরা যখন কলা অনুষদ ত্যাগ করি তখন বলা ছিল এই রুমগুলো আমরা ছাড়ব না। আমি এমন পরিস্থিতিতে নিজেকে খুব বিব্রতকর মনে করছি। আমি অনেক দেশে পড়িয়েছি, সাংবাদিকতা করেছি কিন্ত এমন অনিয়মের পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়নি। তাও বিশ্ববিদ্যালয়ের মত একটি জায়গায় এমন ঘটনা ঘটল। এটা কোনো চর দখল না।
এ বিষয়ে অধ্যাপক খোরশেদ আলম উচ্চশিক্ষার জন্য দেশের বাইরে অবস্থান করাই তাঁর সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. জিয়া রহমান বলেন, দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার আসলে বলার কিছু নাই৷ মোট ৮৮টি রুম নিয়ে একটি সীদ্ধান্ত প্রক্রিয়াধীন ছিল। সেখান থেকে ২৩ টি রুম রেখে বাকি রুমগুলো আমরা ছেড়ে দিব। বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন থাকা অবস্থায় বিষয়টি হেয় করা হচ্ছে। এটি কখনও গ্রহনযোগ্য নয়।
তিনি বলেন, যে রুমগুলোতে তালা লাগনো হয়েছে এগুলো কি ২৩ টি রুমের মধ্যে আছে কি না তা সঠিক করে এখন বলতে পারছি না। তবে তালা দেওয়ার বিষয়ে একটি স্বচ্ছ প্রক্রিয়া রয়েছে। শিক্ষককে না জানিয়ে তাঁর রুমে তালা লাগিয়ে দেয়া কখনও কাম্য নয়। যেখানে এই বিষয়ে উপ-উপাচার্য প্রশাসন (ড. মুহাম্মদ সামাদ) ও কলা অনুষদের ডিন (অধ্যাপক আব্দুল বাছির) অবগত আছেন। এখনও আমাদের এমন কোনো ডিসিশন হয়নি যে, আমরা এই রুমগুলো ছেড়ে দিচ্ছি। দুর্ভাগ্যজনক হলো যে, আমিও জানি না এবং যার রুম তিনিও জানেন না কেন রুমে তালা লাগানো হলো।
পরে তিনি বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের খোলার পর উপ উপাচার্য প্রশাসন ও কলা অনুষদের ডিনের সরাসরি কথা বলে সমাধান করবেন বলে জানান।
এ বিষয়ে কলা অনুষদের ডিন ড. আব্দুল বাছির জানান, আমাদের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এবং আমরা কলা অনুষদ মিলে একটি একটি সভা করেছিলাম। সেখানে বলা হয়েছিল যে, যেসকল শিক্ষকরা সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে চলে গেছেন সেই রুমগুলো তাঁরা আমাদের বুঝিয়ে দিবেন। যেখানে রুমের সংখ্যা ছিল ৮০ টিরও উপরে। সেখানে ২৩ টি রুম উনারা রেখে বাকি রুমগুলো হস্তান্তর করবেন বলে জানান তারা। ঐ তালিকাটা তাঁরা আমাদের সেভাবে দেননি এটা যেমন সত্য, আমাদের দিক থেকে যে জরিপটা করা হয়েছিল কোন কোন বিভাগ চলে গেছেন এবং কোন কোন কক্ষ খালি আছে সেখানে হয়ত কোনো ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে।
প্রাথমিকে ৫৮ হাজার শিক্ষক নিয়োগের প্রস্তাব, ফলাফল প্রকাশ যখন
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।