জুমবাংলা ডেস্ক : তক্ষক দিয়ে ক্যান্সারের মূল্যবান ওষুধ তৈরি হয়, তক্ষক ঘরে থাকলে লাখ লাখ টাকা আসে; প্রতিবেশী দেশে এসবের ব্যাপক চাহিদা; মাথার ম্যাগনেটের দাম কোটি টাকা এমন গুজবের ওপর ভর করে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্নে দেশজুড়ে কয়েকটি সংঘবদ্ধ চক্র এখন তক্ষকের পিছু ছুটছে। এতে বিলুপ্ত হচ্ছে বিরল প্রজাতির এই প্রাণীটি। এমনই একটি কথিত কোটি টাকা মূল্যের তক্ষক উদ্ধার করে অবমুক্ত করেছে ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গা থানা পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে থানা চত্বরে পুলিশ ও বনবিভাগের উপস্থিতিতে উদ্ধারকৃত তক্ষকটি আনুষ্ঠানিকভাবে অবমুক্ত করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান, পৌর মেয়র সাইফুর রহমান, উপজেলা বন কর্মকর্তা শেখ লিটন, প্রেস ক্লাবের সভাপতি এনায়েত হোসেন প্রমুখ।
এর আগে গত মঙ্গলবার আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্দ ইউনিয়নের তিতুরকান্দী গ্রামের জাহিদ শেখের বাড়ির সামনে থেকে তক্ষকটি উদ্ধার করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আলফাডাঙ্গা থানার উপ পরিদর্শক মো. কাদের শেখ, উপ সহকারী পরিদর্শক খায়রুল আলম ও অর্জুন বর সঙ্গীয় ফোর্সসহ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে একটি পরিত্যক্ত ব্যাগ থেকে তক্ষকটি উদ্ধার করেন।
বনবিভাগের কর্মকর্তা শেখ লিটন বলেন, তক্ষক গিরগিটি প্রজাতির নির্বিষ নিরীহ বন্যপ্রাণী। সাধারণত পুরাতন বাড়ির ইটের দেয়াল, ফাঁক-ফোকর ও বয়স্ক গাছে এরা বসবাস করে। কীটপতঙ্গ, টিকটিকি, ছোট পাখি ও ছোট সাপের বাচ্চা খায় এরা। আইইউসিএনের লাল তালিকা অনুযায়ী এটি বিপন্ন বন্যপ্রাণী।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান বলেন, বর্তমানে তক্ষকের দাম ও তক্ষক দিয়ে তৈরি ওষুধ নিয়ে ব্যাপক গুজব ছড়ানো হয়েছে। আর গুজবে বিশ্বাস করে এক শ্রেণির লোক রাতারাতি ধনী হবার স্বপ্নে তক্ষক শিকারে নেমেছে। এসব অসাধু ব্যক্তির জন্য দেশের জীববৈচিত্র্য আজ হুমকির মুখে। প্রাণিগুলো রক্ষায় সবাইকে এগিয়ে আসা দরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।