তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহালের দাবিতে দায়ের করা আবেদনের শুনানি আপিল বিভাগের পঞ্চম দিনে প্রবেশ করেছে। বুধবার (২৯ অক্টোবর) সকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের বেঞ্চে এই শুনানি শুরু হয়।
এর আগে মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) চতুর্থ দিনের শুনানি শেষে কার্যক্রম মূলতবি করা হয়েছিল। ওইদিন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেলের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী শিশির মনির।
এরও আগে, ২২ অক্টোবর, তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা পুনর্বহাল ও তা ১৪তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কার্যকর করার দাবিতে আবেদনকারীদের পক্ষ থেকে শুনানি শেষ করেন বদিউল আলম মজুমদারের আইনজীবী।
শুনানিকালে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ প্রশ্ন তোলেন—রায়ের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ফিরে এলে সংসদের ক্ষমতা খর্ব হবে কি না। পাশাপাশি, একই সময়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার চালু হলে এটি অন্তর্বর্তী সরকারের সংজ্ঞায় পড়বে কিনা, এ বিষয়ে রায়ে স্পষ্ট ব্যাখ্যার প্রয়োজন রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন রিটকারীদের আইনজীবীরা।
তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিলের রায় পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের শুনানি শেষে ২৭ আগস্ট আপিলের অনুমতি দেওয়া হয়। এরপর ড. বদিউল আলম মজুমদারসহ পাঁচজন, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার আপিল করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ অক্টোবর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বে ৭ সদস্যের বেঞ্চে শুরু হয় চূড়ান্ত শুনানি। সেদিন সকালে সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদারের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ড. শরীফ ভূঁইয়া। পরে বিএনপি, জামায়াত এবং রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরাও তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
উল্লেখ্য, ১৯৯৬ সালে সংবিধানে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা সংযোজন করা হয় ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। তবে ১৯৯৮ সালে এই সংশোধনীর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করা হয়। ২০০৪ সালের ৪ আগস্ট হাইকোর্ট ওই রিট খারিজ করে তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থাকে বৈধ ঘোষণা দেয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



