স্পোর্টস ডেস্ক: ৫ অক্টোবর ভারতে শুরু হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। তার আগে পাকিস্তান ও শ্রীলংকা সফরে গিয়ে খেলতে হবে এশিয়া কাপ। বিশ্বকাপ এবং এশিয়া কাপের মতো বড় দুটি টুর্নামেন্টে খেলতে যাওয়ার আগে আফগানিস্তানের সঙ্গে ঘরের মাঠে খেলে প্রস্তুতি জোরদারের বড় সুযোগ টাইগারদের।
অথচ আফগানদের মতো তুলনামূলক দুর্বল প্রতিপক্ষের সঙ্গেই নাজেহাল অবস্থা হয় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের। ঘরের মাঠের চেনা উইকেটেও এশিয়ার উঠতি দলটির বিপক্ষে নাকানিচুবানি খাওয়ার অবস্থা হয় তামিম ইকবালের নেতৃত্বাধীন দলটির।
বুধবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচ সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে টস হেরে আগে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপর্যয়ে পড়ে যায় স্বাগতিক বাংলাদেশ।
সময়ের ব্যবধানে উইকেট পতনের কারণে প্রত্যাশিত রান করতে পারেনি বাংলাদেশ। তাওহিদ হৃদয়ের ৫১ রানের ইনিংসে ভর করে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে টেনেটুনে ৯ উইকেটে ১৬৯ রান করেছে বাংলাদেশ।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে ৬.৫ ওভারে দলীয় ৩০ রানে বাংলাদেশ হারায় অধিনায়ক তামিম ইকবালের উইকেট। তামিমকে কট বিহাইন্ড করেন ফজলহক ফারুকি। সাজঘরে ফেরার আগে ২১ বলে ১৩ রান করে বিদায় নেন তামিম।
১১.২ ওভারে দলীয় ৬৫ রানে আউট হন আরেক ওপেনার লিটন দাস। মুজিব উর রহমানের করা লেগ স্টাম্পের বলে স্কয়ার লেগের উপর দিয়ে বাউন্ডারি হাঁকাতে গিয়ে সীমানার কাছে ক্যাচ তুলে দেন লিটন। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৫ বলে ২৬ রান করে ফেরেন তিনি।
এরপর বোলিংয়ে এসেই নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট তুলে নেন মোহাম্মদ নবি। তার প্রথম বলে সুইপ করতে গিয়ে ফাইন লেগে ক্যাচ তুলে দেন শান্ত। সাজঘরে ফেরার আগে ১৬ বলে ১২ রান করেন শান্ত। ১২.১ ওভারে তার বিদায়ে ৭২ রানে ৩ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
১৫.১ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ৮৪ রান। সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয় ৪ ও ৮ রানে ব্যাটিংয়ে ছিলেন। তখন শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে খেলা বন্ধ থাকে ৫০ মিনিট।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে সাকিবকে আউট করেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই। তার বলে এক্সট্রা কাভারে খেলেন সাকিব। ডানদিকে ডাইভ দিয়ে দুর্দান্ত ক্যাচ নেন মোহাম্মদ নবি। সাজঘরে ফেরার আগে ৩৪ বলে ১৪ রান করার সুযোগ পান সাকিব।
সাকিব আউট হওয়ার পর ব্যাটিংয়ে নেমে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বিপদে পড়েন সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। লেগ স্পিনার রশিদ খানের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন মুশফিক। তার বিদায়ে ২৩.৫ ওভারে ১১২ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বাংলাদেশ।
দলীয় ১২৮ রানে রশিদ খানের বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন আফিফ হোসেন।
৩২.৫ ওভারে দলীয় ১৩৯ রানে ফলজহক ফারুকির গতির বলে এলবিডব্লিউ হয়ে ফেরেন অলরাউন্ডার মেহেদি হাসান মিরাজ। তিনি ২৩ বল খেলে মাত্র ৫ রানে আউট হন।
৩৪.১ ওভারে ৭ উইকেটে বাংলাদেশ করে ১৪২ রান। এরপর শুরু হয় বৃষ্টি। বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য কমে যায় ৭ ওভার। নির্ধারিত ৪৩ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করে ১৬৯ রান। দলের হয়ে ৬৩ বলে ৩টি বাউন্ডারির সাহায্যে সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন তরুণ ব্যাটসম্যান তাওহিদ হৃদয়।
তামিমের কথায় মেজাজ খারাপ পাপনের, আধঘণ্টা চিল্লাচিল্লি করেছেন হাথুরু
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।