জুমবাংলা ডেস্ক : পদ্মা সেতু চালুতে দক্ষিণাঞ্চলের মাছ বিপণনে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে। বরগুনা ও পটুয়াখালীর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র থেকে কম সময়ে মাছ সরবরাহ হচ্ছে। এর ফলে সরকারের রাজস্ব আয় বেড়েছে। এর সুফল পাচ্ছেন পাইকার থেকে প্রান্তিক জেলে পর্যন্ত।
ট্রলারে ট্রলারে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ আসে দক্ষিণাঞ্চলের মৎস্য অবতরণকেন্দ্রগুলোতে। বন্দর থেকে সড়ক পথে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দ্রুত পৌঁছে যাচ্ছে সেই ইলিশসহ বিভিন্ন সামুদ্রিক মাছ। সামুদ্রিক মাছের অন্যতম বড় পাইকারি বাজার বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে এখন রাজধানীসহ বিভিন্ন জেলার পাইকাররা প্রতিদিনই ভিড় করছেন।
এখন মাত্র ৬ ঘণ্টায় পদ্মা সেতু পাড়ি দিয়ে তাজা ইলিশ পৌঁছে যাচ্ছে ঢাকায়। আগে পাথরঘাটা থেকে মাছ পৌঁছাতে সময় লাগতো কমপক্ষে একদিন। ঘাটে সিরিয়াল পেতে মোটা অঙ্কের টাকা দিতে হতো। যানজটের কারণে ট্রাকেই নষ্ট হয়ে যেতো মাছ।
জেলা মৎস্যজীবী ট্রলার মালিক সমিতির সভাপতি গোলাম মোস্তফা চৌধুরী বলেন, যেদিন মাছ আসে, সেই দিনই ঢাকা পৌঁছে যায়। তাতে জেলেরা লাভবান হন, সেই সঙ্গে যারা কেনেন তারা তাজা মাছ খেতে পারেন।
শুধু তাই নয়, বেড়েছে মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের রাজস্ব আয়ও। বিপণন কর্মকর্তা বিপ্লব কুমার সরকার বলেন, সঠিক সময়ে মাছ পৌঁছে যাওয়ার কারণে এখানে বিক্রি বেড়েছে। সেই সঙ্গে রাজস্বও বেড়েছে।
ইলিশসহ সামুদ্রিক মাছ বিপণনে আমূল পরিবর্তন ঘটেছে পটুয়াখালীর মহিপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে। গত বছরের চেয়ে এ বছর বন্দর থেকে মাছের সরবরাহ বেড়েছে অনেক বেশি।
পটুয়াখালীতে ৭৬ হাজারের বেশি নিবন্ধিত জেলে রয়েছেন। আর বরগুনায় প্রায় ৩৮ হাজার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।