পুলিশ বলছে, কোয়ারেন্টিনে না থাকলেও তাবলিগের এই বিদেশিদের মসজিদ থেকে বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।
এদের মধ্যে ঢাকার কাকরাইল জামে মসজিদে আছেন ১৯১ জন। এই মসজিদটিই বাংলাদেশে তাবলিগ জামাতের প্রধান কেন্দ্র হিসেবে বিবেচিত।
বাকি ১৩০ জনকে জড়ো করা হয়েছে যাত্রাবাড়ীর কলাপট্টি মদিনা জামে মসজিদে।
তাবলীগের বিবাদমান দুটি অংশের মধ্যে মাওলানা জোবায়েরের অনুসারী ১৩০ জনকে মদিনা মসজিদে রাখা হয়েছে বলে জানান যাত্রাবাড়ী থানার ওসি মো মাজহারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, মদিনা মসজিদে বড় হওয়ায় ১৩০ জনকে দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে এনে সেখানে আলাদা রাখা হয়েছে। তারা সুস্থ আছেন।
কাকরাইল মসজিদে রাখা ১৯১ জন মাওলানা সাদ কান্ধলভীর অনুসারী।
রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম বলেন, “বর্তমানে কাকরাইল মসজিদে কাউকে ঢুকতে ও বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।”
তিনি জানান, কাকরাইল মসজিদে বিদেশিদের পাশাপাশি তাদের দেখাশোনার জন্য ৩০ থেকে ৪০ জন রয়েছেন। এছাড়া একটি মাদ্রাসার ৪০ জন শিক্ষার্থীও সেখানে রয়েছেন।
তাবলিগ জামায়াতের অন্যতম বড় কেন্দ্র বাংলাদেশ। এই সংগঠনের সময়ে বড় আন্তর্জাতিক সম্মিলন হয় ঢাকার উপকণ্ঠে টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে।
উল্লেখ্য, মহামারীর এই সময়ে সম্প্রতি ভারতের দিল্লিতে তাবলিগ জামাতের একটি সমাবেশ থেকে অনেকের মধ্যে কোভিড-১৯ রোগ ছড়িয়ে পড়েছে। এতে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে।গত দুদিনের পরীক্ষায় ওই সমাবেশে অংশ নেওয়া ৬৫০ জনের দেহে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর এসেছে। এরপর প্রায় দুই হাজার মুসল্লিকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।