জুমবাংলা ডেস্ক: চারপাশে সবাই করেছে তামাক চাষ। মাঝের এক বিঘা (৩৩ শতক) জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেন মো. হাফিজুল রহমান। একই জমিতে এর আগে চাষ করেন গোল আলু। আলু তুলেই সূর্যমুখীর বীজ ফেলেন। তিন মাসের মাথায় ফুলের পরিপূর্ণতা এসেছে। কয়েক দিনের মধ্যেই উত্তোলন করা হবে। ফলন দেখে বেশ লাভবান হবেন বলে আশা প্রকাশ করছেন হাফিজুল।
শুধু হাফিজুল নয়, উপজেলা কৃষি বিভাগের প্রণোদনা নিয়ে এ রকম ২০ জন কৃষক ২০ বিঘা জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করে সফলতা দেখছেন। আর প্রথমবারের চাষেই শতভাগ সফলতার কারণে কৃষি বিভাগ সামনে সূর্যমুখী চাষের সম্ভাবনা দেখছে।
হাফিজুল জানান, পাশের সবাই তামাক চাষ করলেও কৃষি বিভাগের প্রণোদনায় তিনি করেন সূর্যমুখী ফুলের চাষ। এর আগে কখনো তিনি সূর্যমুখীর চাষ করেননি। কৃষি বিভাগ বীজ ও সার দিয়েছে এবং তাদের দিক-নির্দেশনামতো চাষ করেছেন। উত্তোলনের পর কৃষি বিভাগ সূর্যমুখী ফুল থেকে সংগৃহীত বীজ ক্রয় করে নেবে বলে জানিয়েছে। সে ক্ষেত্রে বাজারজাত নিয়েও কোনো চিন্তা করতে হচ্ছে না। সব মিলিয়ে একবিঘা জমিতে প্রায় ৪০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়েছে।
উপজেলা উপ-সহকারী কৃষি অফিসার সুপন চাকমা জানান, সরকারের লক্ষ্য উৎপাদনের মাধ্যমে ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরণ। সেই লক্ষ্য থেকেই এ বছর উপজেলার ২০ জন কৃষককে ২০ বিঘা জমিতে কৃষি বিভাগের প্রণোদনায় সূর্যমুখী ফুলের চাষ করানো হয়েছে। সবাই চাষে সফলতার পরিচয় দিয়েছেন। সূর্যমুখী ফুল থেকে সংগৃহীত বীজ দিয়ে উৎপাদিত তেলে পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। তাই এর মাধ্যমে ভোজ্য তেলের চাহিদা পূরণ সম্ভব।
সুপন চাকমা আরো জানান, হাফিজুল রহমানের যদি ৪০ হাজার টাকার মতো খরচ হয়ে থাকে তাহলে আশা করছি প্রায় এক লাখ টাকার বিক্রয় হবে। তাতে খরচ বাদেও তার প্রায় ৬০ হাজার টাকা লাভ হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।