ভারতের অন্যান্য ইন্ডাস্ট্রি যেখানে দিন দিন সিনেমার বাজেট বাড়িয়েছে, হয়ে পড়েছে তারকানির্ভর, সেখানে মালয়ালম একেবারেই ব্যতিক্রম। নিজেদের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি আর জনজীবনের বাস্তবঘেঁষা গল্পেই ভরসা রেখেছেন এ ইন্ডাস্ট্রির নির্মাতারা। তার ফলও পাচ্ছেন তাঁরা। ২০২৩ সালের প্রথম দুই মাসেই একাধিক ব্লকবাস্টার এসেছে মালয়ালম ইন্ডাস্ট্রি থেকে।
এরইমধ্যে অসংখ্য বিশ্বমানের সিনেমা তৈরি হয়েছে মালয়ালম ভাষায়। সিনেমাগুলো প্রশংসিত হওয়ার পাশাপাশি দারুণ সাফল্য পেয়েছে বক্স অফিসেও। ১১ জানুয়ারির দিকে মুক্তি পাওয়া আব্রাহাম জুলার সিনেমার কথা উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে। এ সিনেমাটি বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে এবং ব্যবসা সফল সিনেমার উৎকৃষ্ট উদাহরণ হিসেবে সবাই বিবেচনা করছে।
ছয় কোটি রুপি ব্যয় এ সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছে। অথচ সিনেমাটি এ পর্যন্ত ৪০ কোটি রুপি আয় করতে সক্ষম হয়েছে। অন্যদিকে সাম্প্রতিক সময়ে মুক্তি পাওয়া মালাইকোট্টা ভালিবান সিনেমা বেশ খ্যাতি অর্জন করেছে।
এ সিনেমাটির বাজেট ছিল ত্রিশ কোটি রুপি। অথচ বক্স অফিসে সিনেমাটি এ পর্যন্ত ৬৫ কোটি রুপি আয় করেছে। ফেব্রুয়ারি মাসে রিলিজ পাওয়া মনজুম্মেল বয়েজ সিনেমাটি নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে। ১১ যুবকের পাহাড়ে আটকে পড়া, এরপর তাদের অসহায় অবস্থা এবং উদ্ধার অভিযান নিয়ে এ গল্প রচিত হয়েছে।
বাস্তব গল্প অনুযায়ী এই সিনেমাটি নির্মাণ করা হয়েছিল। আপনি জেনে অবাক হবেন যে, মাত্র পাঁচ কোটি রুপি ব্যয় হয়েছে এ সিনেমাটি নির্মাণ করতে। মাত্র এক সপ্তাহে এ সিনেমাটি ৫০ কোটি রুপির বেশি আয় করতে সক্ষম হয়েছে।
গত বছর নেরু, কান্নুর স্কোয়াড এর মত সিনেমা বক্স অফিসে চমক সৃষ্টি করেছিল। যে পথে মালায়ালাম সিনেমা এগিয়ে চলছে সেটা গবেষণার অন্যতম চমৎকার বিষয় হতে পারে। সিনেমা হলে ব্যাপকভাবে দর্শকদের ফিরিয়ে আনতে তারা চমৎকার ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে। এ ধরনের সিনেমায় স্থানীয় গল্পের উপর বেশি জোর দেওয়া হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।