স্পোর্টস ডেস্ক : সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকার চোখে মেসি ‘ভদ্রবেশী প্রতারক’। ক্রিকেট যদি ভদ্র লোকের খেলা হয়, ফুটবল তবে আগ্রাসনের। মেজাজ হারিয়ে প্রতিপক্ষের মধ্যকার বাকবিতণ্ডা, হাতাহাতি খুব স্বাভাবিক দৃশ্য ৯০ মিনিটের ধ্রুপদী লড়াইয়ে। এদিক দিয়ে ভিন্ন চরিত্রের লিওনেল মেসি, ফুটবলার হিসেবে নিপাট ভদ্রলোক তিনি।
আর্জেন্টাইন সুপারস্টারের ঝামেলায় জড়ানোর রেকর্ড অল্পই। প্রতিপক্ষের কড়া ট্যাকলেও মেজাজ হারান না তিনি। লম্বা ক্যারিয়ারে মেসির লাল কার্ডের সংখ্যা হাতে গোনা তিনটি। নম্র-ভদ্র হিসেবে সর্বজনবিদিত হলেও সাবেক রিয়াল মাদ্রিদ তারকার চোখে মেসি ‘ভদ্রবেশী প্রতারক’।
রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক গোলরক্ষক জের্জি দাদেকের দাবি, বাহ্যিকভাবে ভদ্র দেখা গেলেও ভেতরে ভেতরে সম্পূর্ণ ভিন্ন লিওনেল মেসি, যা মানুষ বিশ্বাসও করতে পারবে না। দাদেকের চোখে মেসি প্রতারক এবং যন্ত্রণাদায়ক।
বার্সেলোনায় মেসি-গার্দিওলা জুটির সময়কালীন রিয়াল মাদ্রিদে খেলতেন দাদেক। দুজনই দাদেকের চোখে নেতিবাচক চরিত্র। তিনি বলেন, ‘সে (মেসি) ছিল প্রতারক এবং যন্ত্রণাদায়ক। বার্সেলোনা এবং পেপ গার্দিওলাও তাই। তারা খোঁচানোর জন্য প্রস্তুত থাকতো সর্বদা এবং তারা সেটা করতো নিখুঁতভাবে। তারা হোসে মরিনহোর (রিয়ালের তৎকালীন কোচ) এবং তার দলকে ভীষণ কষ্ট দিতো।’
২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত বার্সেলোনার কোচের দায়িত্বে ছিলেন পেপ গার্দিওলা। আধুনিক ফুটবলে বার্সেলোনার ওই সময়কে স্বর্ণযুগ ধরা হয়। বার্সেলোনার কোচ হিসেবে প্রথম মৌসুমেই ট্রেবল জেতেন গার্দিওলা। দুই বছর পর জেতেন আরও একটি চ্যাম্পিয়নস লীগ।
সব মিলিয়ে তিনটি লা লিগা ও দুটি চ্যাম্পিয়নস লীগের ট্রফিসহ বার্সেলোনাকে মোট ১৪টি বড় ট্রফি উপহার দিয়েছেন বর্তমানে ম্যানচেস্টার সিটির কোচ। তখন থেকেই গার্দিওলাকে বিশ্বের অন্যতম সেরা কোচ হিসেবেই বিবেচনা করা হয়। আর তার তুরুপের তাস ছিলেন লিওনেল মেসি।
দাদেক রিয়াল মাদ্রিদের সাবেক দুই ডিফেন্ডার পেপে এবং রামোসের সঙ্গে মেসির বাজে আচরণের কথাও উল্লেখ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আমি পেপে আর রামোসের সঙ্গে মেসিকে এমন সব অসভ্যতা করতে দেখেছি যে, আপনি হয়তো তার মত ভদ্র এবং দেখতে ভালো মানুষ মনে হওয়া কারো কাছ থেকে এটা কল্পনাও করতে পারবেন না।’
এল ক্ল্যাসিকোর দ্বৈরথের বিচারে দাদেকের অভিযোগ সত্য মনে হতেও পারে। বার্সেলোনার প্রাণভোমরা মেসির আক্রমণ ঠেকাতে কোনো কিছুরই বাদ রাখতেন না রিয়ালের দুই ডিফেন্ডার পেপে-রামোস। যে কারণে তাদের সঙ্গে মেসির বিরোধটা স্বাভাবিকই ছিল।
চলতি মৌসুমে অবশ্য মেসি-রামোসের দ্বৈরথের দৃশ্যে আমুল পরিবর্তন এনেছেন পিএসজির সভাপতি নাসির আল খেলাইফি। বার্সেলোনা থেকে মেসি এবং রিয়াল মাদ্রিদ থেকে রামোসকে দলে ভিড়িয়েছেন তিনি। পার্কে দেস প্রিন্সেসে মেসি-রামোস এখন প্রিয় সতীর্থ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।