সংগীতশিল্পী তাহসানের সঙ্গে বিচ্ছেদের পর ওপার বাংলার নির্মাতা সৃজিত মুখার্জির সঙ্গে ঘর বাঁধেন অভিনেত্রী ও মডেল রাফিয়াথ রশিদ মিথিলা। তাতে সমালোচনা একেবারে কমও হয়নি অভিনেত্রীকে নিয়ে। তখন তার ক্যারিয়ারের চেয়ে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশি চর্চা হতো।
কিন্তু মেয়েকে নিয়ে সৃজিতের ঘরে থিতু হওয়ার পর অভিনয় থেকে একরকম দূরেই সরেই যান মিথিলা। আবার নিজের পড়াশোনার সুবাদে খুব একটা অভিনয়ে সময় দিতে পারতেন, এমনও না। তবে বছর কয়েক পেরোনোর পর দেশের একটি ওয়েব সিরিজে কামব্যাক করেন অভিনেত্রী।
মিথিলা পরিচিতি পেয়েছেন মূলত নাটক দিয়ে। প্রায় কমবেশি অনেক নাটকেই দেখা মিলত অভিনেত্রীর। বিশেষ করে রোম্যান্টিক গল্পের নাটকে বেশি নজর কেড়েছেন তিনি। ওয়েব-সিরিজ সিনেমায় কাজ করলেও নাটকের সঙ্গে যুক্ত নেই বছর চারেকের মতো।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সে বিষয়েই আলাপ করলেন মিথিলা। অভিনেত্রীর কথায়, ‘প্রায় চার বছর টেলিভিশনের কোনো কাজ করছি না। তাই বলে এমন নয় যে নাটকে আর অভিনয় করব না। সত্যি বলতে, লাস্ট কয়েক বছর ধরে যে ধরনের চিত্রনাট্য পাচ্ছি, তা আমাকে টানছে না। চরিত্র পছন্দ হচ্ছে না, গল্প খুব গতানুগতিক মনে হচ্ছে।’
এদিকে কাজলরেখা সিনেমা ও অ্যালেন স্বপন ওয়েব সিরিজে মিথিলার অভিনয় নানা রকম আলোচনার সৃষ্টি করে। বিশেষ করে মাই শেলফ অ্যালেন স্বপনে ওয়েব সিরিজে মিথিলার অভিনীত শায়লার চরিত্রটি অতিরঞ্জিত বলে মনে হয়েছে দর্শকের।
সিরিজটিতে মিথিলার বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন সময়ের জনপ্রিয় অভিনেতা নাসির উদ্দিন খান। সেখানে মিথিলা আর নাসির উদ্দিন খানের অন্তরঙ্গ দৃশ্য নিয়ে আপত্তি তোলে দর্শকেরা। নেটিজেনদের মাঝে মিথিলাকে নিয়ে শুরু হয় নানান সমালোচনা। অনেকের কাছে মিথিলার এমন চরিত্রে অভিনয় ছিল অপ্রত্যাশিত।
তবে শায়লার চরিত্রে কাজ করা প্রসঙ্গেও কথা বলেন অভিনেত্রী। মিথিলার কথায়, ‘মাই শেলফ অ্যালেন স্বপনের শায়লা চরিত্রটি দেখার পর অনেকে বলেছে, তারা নাকি ভাবেননি আমি এমন চরিত্র ফুটিয়ে তুলতে পারব।’
তবে অভিনেত্রী চাইতেন, একজন অভিনয়শিল্পী হিসেবে নিজেকে বিভিন্ন চরিত্রে দেখাতে। সেই চাওয়া থেকেই কাজলরেখা সিনেমায় কঙ্কন দাসীর চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন মিথিলা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।