জুমবাংলা ডেস্ক : ৯৯৯ থেকে ফোন পেয়ে দিনাজপুরের একটি আবাসিক হোটেলের তালা ভেঙে পরীক্ষার্থীকে উদ্ধার করে মেডিক্যালের ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করার সুযোগ করে দিয়েছে পুলিশ। আজ ১ এপ্রিল শুক্রবার সকালে দিনাজপুর শহরের মালদহপট্টি গ্রাইন্ড পূর্ভভবা আবাসিক হোটেলে এই ঘটনা ঘটে ।
পরীক্ষার্থীর নাম আরিফাতুজ্জামান। দিনাজপুরের এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ থেকে তিনি এমবিবিএস ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেন। তার রোল নম্বর ২৩০০০৯২। আরিফাতুজ্জামান লালমনিরহাট জেলার পাটগ্রাম উপজেলার মোহাম্মদপুর গ্রামের মোজাম্মেল হোসেনের মেয়ে।
কোতোয়ালি থানার ওসি তদন্ত আসাদুজ্জামান আসাদ জানান, ‘সকাল পৌনে ১০টার সময় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) সুজন সরকারকে ৯৯৯ নম্বর থেকে ফোন দিয়ে জানানো হয়, ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের মেডিক্যাল ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে আসা একজন পরীক্ষার্থী দিনাজপুর শহরের মালদহপট্টি গ্রাইন্ড পূর্ভভবা আবাসিক হোটেলে আটকা পড়েছে। দ্রুত তাকে উদ্ধার করে পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ করে দেওয়ার ব্যবস্থা নেওয়া হোক। খবর পেয়ে আমি ফোর্স নিয়ে পরীক্ষার্থীকে হোটেল কক্ষের তালা ভেঙে তাকে উদ্ধার করে মোটরসাইকেলযোগে দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিক্যাল কলেজ কেন্দ্রে পৌঁছে দিই। মেয়েটি পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে সুন্দরভাবে পরীক্ষা দিয়েছে। ’
এএসআই ননী গোপাল রায় জানান, ফোন পেয়ে দ্রুত মালদহপট্টি গ্রাইন্ড পূর্ভভবা আবাসিক হোটেলে এসে ম্যানেজারকে কয়েকবার ফোন দিয়ে না পেয়ে তালা ভেঙে পরীক্ষার্থী আরিফাতুজ্জামানকে পঞ্চম তলার ডি-১ নম্বর কক্ষ থেকে বের করে মোটরসাইকেলে করে কেন্দ্রে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করায় মেয়েটি পরীক্ষা দিতে পেরেছে।
এ ব্যাপারে হোটেলের ম্যানেজার আল আমিন রহমান বলেন, অসুস্থতার কারণে রাতে ডিউটিরত হোটেল বয়কে ছুটি দিয়েছিলাম। আমিও মোবাইল সাইল্যান্ট করে ঘুমিয়ে ছিলাম, তাই এ ঘটনা ঘটেছে।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পরীক্ষার্থী আরিফাতুজ্জামানের সঙ্গে আসা ভাই আব্দুর রফিক জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে তারা দিনাজপুর শহরের মালদহপট্টি গ্রাইন্ড পূর্ভভবা আবাসিক হোটেলের পঞ্চম তলায় ডি-১ কক্ষে ওঠেন। সকাল সাড়ে ৮টার সময় হোটেল থেকে পরীক্ষা কেন্দ্রে যাওয়ার সময় বের হতে গিয়ে দেখেন প্রধান গেটে তালা মারা। এরপর হোটেলে কাউকে না পেয়ে ম্যানেজারের নাম্বারে ফোন দিলেও তিনি রিসিভি করেননি। ফলে ৯৯৯-এ ফোন দিয়ে সহযোগিতা চাইলে পুলিশ এসে আমাদেরকে উদ্ধার করে পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছে দেয়। পুলিশের সহযোগিতা না পেলে আজ আমার বোন পরীক্ষা দিতে পারত না।
পরীক্ষার্থী আরিফাতুজ্জামানের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, আমি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারব কি না তা জানি না, কিন্তু পুলিশের কাছে সারা জীবন কৃতজ্ঞ থাকব।
দিনাজপুর এম আব্দুর রহিম মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. মো. মোমেনুল হক জানান, আমরা দ্রুত মেয়েটিকে তার পরীক্ষার কক্ষে পৌঁছে দিয়েছিলাম। সে সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।