জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ার শাজাহানপুরে এক সন্তানের জননী তালাকপ্রাপ্তা এক স্ত্রীকে মাথা ন্যাড়া করে দিয়েছে স্বামী, শ্বশুর ও ভাসুর। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের পর শ্বশুর ও ভাসুরকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন উপজেলার সুজাবাদ উত্তরপাড়ার মৃত তজমল আলীর ছেলে শ্বশুর ইয়াছিন আলী (৫৮) এবং ভাসুর আইদুল ইসলাম (৩০)। রবিবার সন্ধায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আব্দুর রাজ্জাক এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার বাদী ওই নারী জানান, ৫ বছর আগে উপজেলার সুজাবাদ উত্তরপাড়ার ইয়াছিন আলীর ছেলে সুমনের সাথে তার বিয়ে হয়। সংসার জীবনে তাদের ইশান নামে দুই বছর বয়সী একটি পুত্রসন্তান রয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরে গত বছর ২৪ মার্চ তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়। ডিভোর্সের পর তিনি শিশুপুত্রকে নিয়ে উপজেলার ভান্ডারপাইকা উত্তরপাড়ায় তার বাবার বাড়িতে থাকেন। মাঝে মধ্যে সুমন তার ছেলেকে দেখতে আসতেন। গত শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার মাদলা চাঁচাইতারা বন্দরে সুমনের কম্পিউটার দোকানে ছেলে ইশানকে নিয়ে যেতে বলে। কথামতো ছেলেকে নিয়ে সুমনের দোকানে পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পিতভাবে স্বামী, শ্বশুর ও ভাসুর জোর করে দোকানঘরের ভেতরে শাটার নামিয়ে দিয়ে এলোপাতাড়ি কিল, ঘুষি মারে। একপর্যায়ে সামাজিকভাবে অপমান অপদস্ত করা জন্য তারা তাকে পেছন দিক থেকে দুই হাত চেপে ধরে মাথা ন্যাড়া করে দেয়। চিৎকার দিলে তারা তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। চিৎকার শুনে স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে তারা দ্রুত পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতে স্বামী, শ্বশুর ও ভাসুরকে আসামি করে থানায় মামলা দায়ের করেন।
এসআই আব্দুর রাজ্জাক জানান, স্বামী পরিত্যক্তা ওই নারীকে মাথা ন্যাড়া করে দিয়ে স্বামী, শ্বশুর ও ভাসুর পলাতক ছিল। বগুড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ফয়সাল আহমেদের দিকনির্দেশনায় মোবাইল ট্র্যাকিং করে রবিবার ভোর ৫টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলার শাহজাদপুর থানা এলাকা থেকে শ্বশুর ইয়াছিন আলী ও ভাসুর আইদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। স্বামী সুমনকে গ্রেপ্তার করতে জোর চেষ্টা চলছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।