আন্তর্জাতিক ডেস্ক : সেই ২০০১ সালে শুরু। কত মায়ের কোল যে খালি হয়েছে, কিংবা কত সন্তান যে তার মা অথবা বাবাকে হারিয়েছে এবং কত মানুষ আহত হয়েছে- তার ইয়ত্তা নেই। অসংখ্য মানুষ উদ্বাস্তু হয়েছে। কিন্তু আর কত! তাই সাম্প্রতিক সময়ে প্রায় দুই দশকের আফগান ‘গৃহযুদ্ধে’র অবসান ঘটানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। ইতোমধ্যে চুক্তি সই হয়েছে এবং আস্তে আস্তে চলছে তার বাস্তবায়ন।
এই শান্তি প্রক্রিয়ায় অন্যদের পাশে আছেন একমাত্র নারী ফাওজিয়া কুফি। কিন্তু তাকেই এবার টার্গেট করা হয়েছে। তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি চালিয়েছে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা। যদিও তিনি এ যাত্রায় বেঁচে গেছেন, তবে তার ডান হাতে গুলি লেগেছে। বর্তমানে তিনি শঙ্কামুক্ত বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ গণমাধ্যম গার্ডিয়ান।
তালেবানের সঙ্গে সরকারের শান্তি আলোচনার প্রস্তুতি চলার মধ্যেই এ হামলা হলো। তবে সংগঠনটি দাবি করেছে তারা হামলা চালায়নি।
৪৫ বছর বয়সী ফাউজিয়া কুফি একজন প্রাক্তন সংসদ সদস্য এবং প্রখ্যাত নারী অধিকারকর্মী। শুক্রবার সন্ধ্যায় পার্শ্ববর্তী পারওয়ান প্রদেশ থেকে ফাওজিয়া যখন কাবুলে ফিরছিলেন তখন অজ্ঞাত বন্দুকধারীরা রাজধানীর কাছে একটি বাজার এলাকায় তার গাড়ির ওপর হামলা করে। এতে গুলিবিদ্ধ হন ফাওজিয়া।
তালেবানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের সংঘাতের রাজনৈতিক নিষ্পত্তির জন্য গঠিত ২১ সদস্যবিশিষ্ট জাতীয় টিমের প্রধান মোহাম্মদ মাসুম স্তানেকজাই টুইট করে জানিয়েছেন, কুফি সামান্য আহত হয়েছেন, তবে তিনি ভালই আছেন। আফগান প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানি এই ঘটনাকে ভীরুর কাজ বলে অভিহিত করেছেন।
এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় আফগান সরকারের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় সম্মতি জানায় তালেবান। দুই পক্ষের মধ্যে একটি চুক্তিও স্বাক্ষর হয়। চুক্তি অনুযায়ী, আফগান সরকারকে ৫ হাজার বন্দি তালেবানের মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে। ১৩ আগস্ট থেকে সর্বশেষ ৪০০ তালেবান সদস্যকে মুক্তি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরু করেছে সরকার। সবাইকে মুক্তি দেওয়ার পর কাতারে শান্তি আলোচনা শুরুর কথা রয়েছে। আর এর মধ্যেই এ হামলা হলো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।