জুমবাংলা ডেস্ক : কুষ্টিয়ায় আলোচিত ছাত্রী ধর্ষণ মামলায় মাদরাসা সুপার আব্দুল কাদেরকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। একই সঙ্গে তাকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার বেলা সোয়া ১টায় কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে জরিমানা অনাদায়ে আরো এক বছরের জেল দেওয়া হয়েছে।
কুষ্টিয়ায় ধর্ষণ মামলায় এত দ্রুত সময়ে রায় দেওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম। দেড় মাস আগে এ মামলা দায়ের করা হয়।
রায় ঘোষণার সময় একমাত্র আসামি আবদুল কাদের (৪৫) আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়। তিনি উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরূপদহ চকপাড়া সিরাজুল উলুম মরিয়ম নেসা মাদরাসার পরিচালক।
আদালত সূত্র জানায়, গত ৪ অক্টোবর জেলার মিরপুর উপজেলায় একটি মাদরাসার অষ্টম শ্রেণির আবাসিক ওই ছাত্রীকে (১৩) ভয়ভীতি দেখিয়ে আবদুল কাদের দুই দফা ধর্ষণ করেন। ঘটনা জানার পরে ওই ছাত্রীর বাবা বাদী হয়ে পরদিন মিরপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। আবদুল কাদেরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ সেই দিনই তাকে জেলার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে নিলে ধর্ষক ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার এসআই আতিকুর রহমান ৭ দিনে তদন্ত শেষে গত ১৩ অক্টোবর আবদুল কাদেরের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ১২ নভেম্বর আদালত ওই আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। ১৫ নভেম্বর বাদীসহ ১৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন। এরপর আজ মঙ্গলবার সকালে যুক্তিতর্ক শেষে আদালত দুপুরে রায় ঘোষণা করেন।
আদালতের পিপি আবদুল হালিম বলেন, দেশে মাত্র তিন কার্যদিবসে রায় হওয়ার ঘটনা এটাই প্রথম। দ্রুত এ রায়ের মাধ্যমে ভুক্তভোগী পরিবারটি ন্যায়বিচার পেয়েছে। রায় ঘোষণার সময় আদালত তাঁর মন্তব্যে বলেছেন, এখানে রক্ষকই ভক্ষক হয়েছে। আমার কাছে মনে হয়েছে, ঘটনা সত্য ও আসামি অপরাধী। তাই আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করা হলো। বাংলাদেশে এত দ্রুত সময়ের মধ্যে রায় হয় নাই। সকলের সহযোগিতায় এটা সম্ভব হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।