ভৈরবের বাউসমা’রা গ্রামের বাসিন্দা জামাল (৩৫) হ’ত্যার র’হস্য তিনমাস পর উ’দঘাটন হয়েছে। পু’লিশ হ’ত্যায় জ’ড়িত ৪ অ’প’রাধীকে গ্রে’ফতার করেছে। গ্রে’ফতাররা হলেন- ভৈরবপুর উত্তরপাড়া এলাকার মো. বাচ্চু মিয়ার মেয়ে আয়েশা বেগম আশা (২০), একই এলাকার ভাড়াটিয়া লালমোহন বিশ্বা’সের ছেলে টিটু চন্দ্র বিশ্বা’স ওরফে পবন(২৬), লক্ষ্মীপুর গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে মোক্তার হোসেন (২৮) ও একই এলাকার তারা মিয়ার ছেলে বাবুল মিয়া (৩২)।পু’লিশ নি’হত জামালের মোবাইলের কল চেকিং করে দীর্ঘ ৮৫ দিন পর খু’নীদের গ্রে’ফতার করতে স’ক্ষম হয়। গ্রে’ফতারের পর সোমবার পু’লিশ খবরটি গো’পন রাখে। এরপর জিজ্ঞাসাবাদে তারা খু’নের কথা স্বীকার করে। পরে সোমবার সন্ধ্যায় আয়েশা বেগম আশা ও টিটু চন্দ্র বিশ্বা’স কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জুডিশিয়াল আ’দালতের বি’চারক আশিকুর রহমানের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানব’ন্দি দেন। পরে ওই দু’জনসহ চারজনকে কারাগারে পাঠানো হয়। অ’পর গ্রে’ফতারকৃত মোক্তার হোসেন ও বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পু’লিশ ৫ দিনের রি’মান্ড আবেদন করে। আগামী বুধবার আ’দালতে রি’মান্ডের শুনানি হবে বলে জানায় পু’লিশ।
আ’দালতে জবানব’ন্দিতে আয়েশা বেগম জানান, টিটু চন্দ্রের সঙ্গে তার দুই বছর যাবত প্রেমের স’ম্পর্ক ছিল। টিটু ছিল মা’দকাসক্ত। প্রেমের স’ম্পর্কের কারণে প্রায়ই তারা শারীরিক মেলামেশা করত। টিটুর মাধ্যমে মোক্তার ও বাবুলের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। পরিচয়ের সূত্র ধরে এ দু’জনের সঙ্গেও সে অ’বৈধ স’ম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু টিটু তার উপার্জনের টাকা জো’র করে নিয়ে যেত। এরই মধ্যে এক লোকের মাধ্যমে জামালের সঙ্গে তার পরিচয় হয়। জামাল তাকে বিয়ে করার ইচ্ছা প্রকাশ করে। তার সঙ্গেও সে শারীরিক স’ম্পর্ক গড়ে তোলে। কিন্তু জামালের সঙ্গে মেলামেশা করা টিটু পছন্দ করত না। ঘটনার রাতে টিটুর কথায় সে জামালকে শহরের স্টেডিয়ামের কাছে মোবাইলে ডেকে আনে। এসময় মোক্তার ও বাবুল টিটুর সঙ্গে ছিল। জামাল ঘটনাস্থলে আসার পর তাকে বাসায় চলে যেতে বলে। পরদিন তার মৃ’ত্যুর খবর পায় সে। জামালকে ডেকে আনলেও খু’ন করেনি বলে জানায় আয়েশা।
টিটু চন্দ্র বিশ্বা’স তার জবানব’ন্দিতে বলেন, ‘আমি আয়েশাকে ভালবাসতাম। কিন্ত জামাল আয়েশাকে বিয়ে করতে চায়। তার কারণে আমা’র প্রেম শেষ হয়ে গিয়েছিল। তাই আয়েশাকে দিয়ে তাকে ঘটনার রাতে খবর দিয়ে ঘটনাস্থলে আনি। সে আসার পর আয়েশাকে বিদায় করে তিনজনে মিলে তাকে ছু’রিকাঘাত করে হ’ত্যা করি। মোক্তার জামালের পুরুষাঙ্গ কে’টে আলাদা করে। আমি ও বাবুল মিলে তাকে একাধিক ছু’রিকাঘাত করলে সে ঘটনাস্থল আলুকান্দা এলাকায় মা’রা যায়। পরে তার লা’শ কলাবাগানে রেখে আম’রা পালিয়ে আসি। জামাল আমাদের পথের কাঁ’টা হয়ে গিয়েছিল, তাই তাকে দুনিয়া থেকে বিদায় করে দিয়েছিলাম রাঁতের আঁধারে। তাকে হ’ত্যার পরে ঘটনাটি আয়েশাকে জানিয়ে জামালের পুরুষাঙ্গটি তাকে দেখিয়েছি।’
গত বছরের ৯ নভেম্বর সন্ধ্যায় ভৈরবের বাউসমা’রা গ্রামের গিয়াস উদ্দিন মিয়ার ছেলে জামাল মিয়া বাসা থেকে বের হয়ে নি’খোঁজ হন। এদিন তিনি তার স্ত্রী’কে গানের আসরে যাওয়ার কথা বলে বের হয়ে সারারাত বাসায় ফেরেননি। পরদিন পরিবারের সদস্যরা তার মৃ’ত্যুর খবর পায়। পু’লিশ খবর পেয়ে তার লা’শ উ’দ্ধার করে। পরে তার স্ত্রী’ বিলকিছ বেগম বাদী হয়ে অ’জ্ঞাত আ’সামি করে থা*নায় মা’মলা করেন। ঘটনার একমাস পর জামালের চাচাত ভাই ফরহাদকে সন্দেহ’জনকভাবে পু’লিশ গ্রে’ফতার করে। কারণ ঘটনার দিন ফরহাদ তাকে মোটরসাইকেলে শহরে পৌঁছে দিয়েছিল। বর্তমানে ফরহাদ কারাগারে বন্দী আছে।
ভৈরব থা*নার ওসি মো. শাহিন জানান, তিন মাস পর হলেও মা’মলার ত’দন্তকারী কর্মক’র্তা পু’লিশ পরিদর্শক বাহালুল খাঁন বাহার মোবাইল ফোনের সূত্র ধরে হ’ত্যার র’হস্য উম্মোচন করেছেন। আ’সামিদের গ্রে’ফতার করা ও তাদের স্বীকারোক্তি আদায় করতে পু’লিশ অনেকটা কৌশল অবলম্বন করেছে। দেরিতে হলেও এই খু’নের র’হস্যটি উদঘাটন করেছে পু’লিশ। এখন আইন অনুযায়ী তাদের বি’রুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।