জুমবাংলা ডেস্ক : নড়াইলের লোহাগড়া এলাকার আধিপথ্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে হাবিল মোল্যা (৫০), মোক্তার মোল্যা (৫৫) ও রফিকুল মোল্য (৩২) নামে ৩ জন নিহতের ঘটনায় শহরে লাশ নিয়ে ঝাড়ু মিছিল করেছে এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে লাশ নিয়ে ঝাড়ু মিছিল ও মানববন্ধন এবং জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছে এলাকাবাসী।
শহরের চৌরাস্তা থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে আদালত সড়কে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কাশিপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান, দলনেতা মিরাজ মোল্যা, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা কাজী আব্দুল আলীম, সুফিয়া বেগম, সুমন আহম্মেদ প্রমুখ।
তারা অভিযোগ করেন, ডিআইজি নাজমুল আলমের নির্দেশে তার ভাতিজা ও জেলা পরিষদের সদস্য সুলতান মাহমুদ বিপ্লবের নেতৃত্বে আমাদের দলের নেতা-কর্মীদের ওপর নির্মম হামলা চালিয়ে ৩ জনকে হত্যা করে। এ সময় কমপক্ষে ২০ জনকে আহত করে তারা। পুলিশের উপস্থিতিতে এ হামলা চালায় বলেও অভিযোগ করেন বক্তরা।
অবিলম্বে ডিআইজি নাজমুল আলম এবং তার ভাতিজা ও জেলা পরিষদের সদস্য সুলতান মাহমুদ বিপ্লবসহ জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান তারা।
লোহাগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আশিকুর রহমান এলাকার আধিপথ্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে জানিয়ে বলেন, জড়িত সন্দেহে ১২ জনকে আটক করা হয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
উল্লেখ্য, নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার গন্ডব এলাকায় আধিপথ্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে জেলা পরিষদের সদস্য বিপ্লব ও মিরাজ মোল্লার মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসছিল। এরই জের ধরে দু’পক্ষের লোকজন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় উভয় পক্ষের অন্তত ২২ জন আহত হয়। স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে নড়াইল সদর হাসপাতালে নিয়ে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার মিরাজ মোল্লার পক্ষের হাবিল মোল্যা (৫০), মোক্তার মোল্লাকে (৫৫) মৃত ঘোষণা করে। গুরুতর আহত রফিকুল মোল্যকে (৩২) যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।