বাংলাদেশে তিস্তা মহাপরিকল্পনার বাস্তবায়ন ঠেকাতে ভারতের প্রভাবিত কিছু এনজিও আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে। সম্প্রতি তারা চীনের অর্থায়িত এই প্রকল্পকে ‘আত্মঘাতী’ উল্লেখ করে মানববন্ধন করেছে এবং প্রকল্প বন্ধের দাবি জানিয়েছে। আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষে ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর তীরে আয়োজিত মানববন্ধনে এসব সংগঠন নদী ও খাল দখল ও দূষণমুক্ত রাখার আহ্বান জানালেও তাদের মূল লক্ষ্য ছিল তিস্তা মহাপরিকল্পনাকে বাধাগ্রস্ত করা।
তিস্তা প্রকল্প বিরোধিতায় এনজিওগুলোর তৎপরতা
মানববন্ধন শেষে বুড়িগঙ্গা নদী পরিদর্শনের নামে এসব সংগঠন সরেজমিনে নদীর দুই তীর পরিদর্শন করে। ভারতের অর্থায়নে পরিচালিত এ কর্মসূচির সভাপতি ড. হালিম দাদ খান বলেন, “বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। অতীতে এ দেশে প্রায় দেড় হাজার নদী প্রবাহিত ছিল, যা আজ নেমে এসেছে মাত্র ২৩০টিতে। নদীগুলোর নাব্যতা রক্ষায় পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।”
এ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী সংগঠনগুলোর মধ্যে ছিল বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), বুড়িগঙ্গা বাঁচাও আন্দোলন, বাদাবন সংঘ, বারসিক, ক্যাপস, সিডাব্লিএফ, সিডিপি, ক্লিন রিভার বাংলাদেশ, দ্বীপ উন্নয়ন সংস্থা, গ্রীন সেভার্স, নাগরিক উদ্যোগ, নদী যাত্রিক, নোঙ্গর ট্রাস্ট, নদীপক্ষ, ওয়ার্ক ফর এ বেটার বাংলাদেশ (ডাব্লিউবিবি ট্রাস্ট), রিভারাইন পিপল, অ্যাসোসিয়েশন ফর ল্যান্ড রিফর্ম অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (এএলআরডি), নবাব বাগিচা সামাজিক উন্নয়ন কল্যাণ পরিষদ, পরিবেশ উদ্যোগ ও গ্রীন ভয়েস।
তিস্তা মহাপরিকল্পনার বিরোধিতা কেন?
মানববন্ধনে ১১ দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়, যার মধ্যে অন্যতম ছিল তিস্তা নদীকে ‘জীবন্ত ও আইনি সত্তা’ হিসেবে ঘোষিত সুপ্রিম কোর্টের রায়ের বাস্তবায়ন নিশ্চিত করা এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাতিল করা।
তাপমাত্রা কেমন থাকবে, জেনে নিন চলতি সপ্তাহে বৃষ্টির সর্বশেষ আপডেট
এদিকে, তিস্তা অববাহিকার লক্ষ লক্ষ মানুষ বছরের পর বছর ধরে এ প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে। রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে ভারত-সমর্থিত আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে পূর্ববর্তী সরকার এ প্রকল্প বাস্তবায়ন বাধাগ্রস্ত করেছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার নতুন করে তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নে কার্যকর পদক্ষেপ নিচ্ছে, যা প্রতিহত করতে দিল্লি-সমর্থিত এনজিওগুলো আবার সক্রিয় হয়ে উঠেছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।