জুমবাংলা ডেস্ক : তিস্তা সেচ প্রকল্প উন্নয়নের নামে বন বিভাগের ৪ লাখ গাছ কাটার সিদ্ধান্তে উষ্মা প্রকাশ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের।
রবিবার (১২ মে) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে গাছ কাটা বন্ধ রেখে, নতুন করে বনায়নের দাবিও জানান সাবেক এই মন্ত্রী।
তিনি বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাতে দেশ এখন বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে। এমন বাস্তবতায় দেদার গাছ কাটার সিদ্ধান্ত আত্মঘাতী ও ক্ষমার অযোগ্য।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে জি এম কাদের বলেন, তিস্তা সেচ প্রকল্পের প্রধান ক্যানেলসহ টারশিয়ারি এবং সেকেন্ডারি খাল সংস্কার ও সম্প্রসারণের নামে ৪ লাখ গাছ কাটছে বন বিভাগ। ইতোমধ্যেই দিনাজপুরে খালের নীলফামারী সদরের চান্দের হাট বাহালীপাড়া এলাকায় অন্তত ২০টি গাছ কাটা হয়েছে। ওই এলাকায় এর আগেও গাছ কাটা হলেও নতুন করে বনায়ন করা হয়নি। এর বিরূপ প্রভাবে তিস্তার অনেকাংশ মরুভূমি হতে চলেছে।
তিনি বলেন, নীলফামারী সদর ও ডিমলা উপজেলার প্রকল্প এলাকায় ইতোমধ্যেই ৫০ শতাংশ গাছ কাটা হয়েছে। প্রকল্প প্রণয়ন ও বাস্তবায়নে পরিবেশ রক্ষার বিষয়সমূহ গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করা স্বাভাবিক নিয়মের মধ্যেই অন্তর্ভুক্ত। তথাপি প্রকল্প বাস্তবায়নে এত বিপুল সংখ্যক বৃক্ষ নিধন কেনো অবশ্যম্ভাবী হয়ে দাঁড়াল এটা বোঝা মুশকিল। সমালোচকদের মতে প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় দুর্নীতি মাধ্যমে অর্থ উপার্জনের অতিরিক্ত বৃক্ষ কর্তন করে বিক্রির মাধ্যমে আরও অধিক মুনাফা অর্জনই এ ধরনের প্রকল্প গ্রহণের উদ্দেশ্য কি না তা তদন্ত করা প্রয়োজন।
বিবৃতিতে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেন, গাছের অভাবে দেশের প্রকৃতিক পরিবেশ বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। তাই গাছ কাটার সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হবে। দেশ ও পরিবেশের বিরুদ্ধে কাদের স্বার্থে আত্মঘাতী সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে, তা খতিয়ে দেখতে সংশ্লিষ্টদের পরামর্শ দেন তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।