জুমবাংলা ডেস্ক: দেশে অব্যাহতভাবে তাপমাত্রা বাড়তে থাকায় জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। মানুষের সঙ্গে ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা অন্য প্রাণিদেরও। তাদের মধ্যে বন্যপ্রাণিদের জীবনও অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
সুন্দরবনের করমজলে হরহামেশা যেসব বন্যপ্রাণি দেখা যেতো, তাদের আর তেমনটা দেখা মিলছে না। বিশেষ করে হরিণ, বানর ও গুইসাপসহ অন্য বন্যপ্রাণি বনের ভেতর ছায়া ও শীতল জায়গায় অবস্থান নিয়েছে। এমনকি গরম সহ্য করতে না পেরে জলে কুমির ডাঙায় উঠে আসতে দেখা গেছে।
করমজল বন্যপ্রাণি প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আজাদ কবির বলেন, কুমির শীতল রক্তের প্রাণি। এদের নিজস্ব কোনো তাপ নেই। ওদের শরীরের ওপরে যে মাংসপিণ্ড দেখা যায়, তা দিয়ে রোদ থেকে তাপ গ্রহণ করে থাকে। কিন্তু তার একটা সীমা আছে। তাপমাত্রা অতিরিক্ত হলে তারা রোদ থেকে ছায়ায় চলে যায়। তাই করমজলের কুমিরগুলো প্যানের রোদ থেকে ছায়ায় অবস্থান নিয়েছে। এভাবে অতিরিক্ত তাপে বন্যপ্রাণীরা কষ্ট পাচ্ছে। আর বনে সব সময় হরিণ, বানর, গুইসাপ ও পাখি দেখা গেলেও তা এখন আর তীব্র তাপদহে দেখা যাচ্ছেনা। এসব প্রাণিগুলো বনের গহীনে লতাপাতা ও গুল্মের মধ্যে শীতল ছায়ায় আশ্রয় নিয়েছে।
মোংলা আবহাওয়া অফিস ইনচার্জ মো. হারুন অর রশিদ জানিয়েছেন, রবিবার (১৬ এপ্রিল) মোংলায় ৪১ দশমিক চার ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। ৩৯ ও ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা ছিলো মোংলাসহ সাগর ও সুন্দরবন উপকূলে। আর এমন পরিস্থিতি চলবে আগামী দুই থেকে তিন দিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।