
দেশের উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে হাড় কাঁপানো শীতের দাপট বেড়েই চলছে। হিমালয়ের নিকটবর্তী হওয়ায় তেঁতুলিয়ায় তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে, এ মৌসুমে এটাই জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) সকাল ৬টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ১২.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঋতুর শুরুতেই এমন শীত দেশের অন্য যেকোনো জেলার তুলনায় এখানকার মানুষকে বেশি কাবু করে ফেলেছে।
তীব্র শীত ও হিমেল হাওয়ায় সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছে শ্রমজীবী ও খেটে খাওয়া মানুষরা। ঠান্ডার কারণে অনেকে ভোরবেলা কাজে বের হতে পারছেন না। গরম পোশাকের অভাবে দিনমজুর, রিকশাচালক, বৃদ্ধ ও শিশুরা চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন।
সন্ধ্যার পর থেকেই পুরো জনপদ ঢেকে যাচ্ছে হালকা কুয়াশায়, যা গভীর রাতে আরও ঘন হয়ে “বৃষ্টির মতো” পড়ছে। এতে ব্যাহত হচ্ছে স্বাভাবিক চলাচল, ঠান্ডায় জমে যাচ্ছে হাত-পা।
হিমালয়ের কাছাকাছি তেঁতুলিয়ার বাতাসে যেন শীতের কামড় আরও প্রকট। প্রতিদিনের কাজকর্ম ব্যাহত হয়ে পড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষদের জীবিকা এখন হুমকির মুখে।
এদিকে, হিমেল বাতাস বয়ে যাওয়ায় এখনও সেভাবে শীত না পড়ায় দিনে গরম ও রাতে হালকা শীতের কারণে আবহাওয়ার কারণে বেড়েছে শীতজনিত বিভিন্ন রোগব্যাধি। পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে শিশু ও বয়স্করা সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় জানান, আগের তুলনায় তাপমাত্রা কমতে শুরু করেছে। আগামীমাসে তাপমাত্রা আরও কমবে এবং আরো বেশি শীত অনুভূত হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



