বাজারে যখন সয়াবিন তেলের সংকট চলছে তখন তা নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। তারা ইচ্ছাকৃতভাবে সরবরাহ কমানোর সব ধরনের প্রমাণ পেয়েছে। কোম্পানির ডিলাররা দোকানীদের বাধ্য করছেন যেন তেলের সাথে তাদের অন্য পণ্য ক্রয় করা হয়।
অধিদপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে, এ ধরনের ঘটনা চলতে থাকলে তারা কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। রাজধানীতে সংস্থাটির প্রধান কার্যালয় এক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিল রিফাইনারি এসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।
তারা সবাইকে আশ্বাস দিয়েছে যে, যেন রমজান মাসে বাজারে তেলের কোন সংকট না হয়। এক মাস হয়ে গেল বাজারে এখনও তেলের সরবরাহ স্বাভাবিক হয়নি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে সমাধান করার চেষ্টা করা হলেও তা কাজে আসেনি।
ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মতবিনিময়ে সংস্থাটির কর্মকর্তারা জানান, বাজার ঘুরে দোকানিদের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছেন তারা। দেখেছেন, বোতলে মুদ্রিত দামের চেয়ে বাড়তি গুণতে হচ্ছে ক্রেতাদের।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোহাম্মদ আলীম আখতার খান বলেন, ‘তেলের সাথে অন্য পণ্য কিনতে বাধ্য করা হলে মিল মালিক বা ডিলারদের বিরুদ্ধে আইননুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তেলের মূল্য সম্পর্কে মিল মালিকদের তথ্য সঠিকভাবে প্রদান করতে হবে। ভোজ্যতেলের উৎপাদন এবং সরবরাহ কৃত্রিমভাবে বন্ধ করা হলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
মিল মালিকরা বলছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে অপরিশোধিত সয়াবিন তেলের দাম বাড়ায় আমদানি সংকট তৈরি হয়। তবে, এমাসের শেষ দিকেই আসবে বড় দুটি চালান।
টিকে গ্রুপের পরিচালক শফিউল আতাহার তাসলিম বলেন, ‘২২ তারিখ রাত থেকে জাহাজগুলো আসবে। ২৪ তারিখ ট্যাক্স পরিশোধ করবে। ২৬ ও ২৭ তারিখ থেকে পর্যাপ্ত পরিমাণ তেল এবং রমজানে যা লাগবে তার থেকে বেশি পরিমাণ মাল আসবে।’
বাজারে সময়মতো তেল সরবরাহ নিশ্চিতে মিলারদেরকেই নির্দিষ্ট ট্রাক ভাড়ার বিনিময়ে ডিলার ও পাইকারি পর্যায়ে পাঠানোর নির্দেশ দেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।