জুমবাংলা ডেস্ক : ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের শিক্ষকা ও খালেদা জিয়া হলের আবাসিক শিক্ষিকা অধ্যাপক ড. মাহবুবা সিদ্দিকার বিরুদ্ধে পরিবেশ বিজ্ঞান ও ভূগোল বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ঈশিতাকে (ছদ্ম নাম) হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। এতে নিরাপত্তা চেয়ে শনিবার (২৭ আগস্ট) ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সেলীনা নাসরীন বরাবর লিখিত আভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী।
লিখিত আবেদনে তিনি বলেন, আমি খালেদা জিয়া হলের একজন ছাত্রী। গত ২৩ আগস্ট আমার হলের সিট বরাদ্দের ভাইভা অনুষ্ঠিত হয়। আমি সেদিন বোরখা পরে ভাইবাতে উপস্থিত হই। ভাইবা দেয়ার সময় উক্ত বোর্ডে আমাকে নানাভাবে হেনস্থা করা হয়। কোন রকম সংশ্লিষ্টতা না থাকার পরেও আমাকে সরাসরি শিবির বলে আখ্যায়িত করা হয় এবং হুমকি দেয়া হয়। শঙ্কিত হয়ে বিষয়টি আমি আমার একজন ছাত্রলীগের কাছের ভাইকে জানাই। পরবর্তীতে ঐ শিক্ষিকা আমাকে প্রভোস্ট কক্ষে ডেকে নানাভাবে হুমকি দেয়। এতে আমি ব্যক্তিগত ও পারিবারিক নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়ি। বর্তমানে এটা নিয়ে নিরাপত্তাজনিত সমস্যায় ভুগছি। এবং তিনি নিরাপত্তার জন্য আবেদন করেন।
ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ আগস্ট খালেদা জিয়া হলের আবাসিকতা প্রাপ্তির জন্য আবেদনকারী ছাত্রীদের সাক্ষাৎকার নেয় হল প্রশাসন। এ সময় বোরকা পড়ে যাওয়ায় হেনস্তা করা হয় বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীর। পরে ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী তার আত্মীয় শাখা ছাত্রলীগের এক সাবেক নেতাকে বিষয়টি জানান। পরে তিনি শাখা ছাত্রলীগের কর্মী সাগরকে বিষয়টি অবহিত করলে সাগর মাহবুবা সিদ্দিকার সাথে যোগাযোগ করে ওই ছাত্রীকে হেনস্তা না করার অনুরোধ করেন।
পরে ২৪ আগস্ট হল প্রভোস্টের কার্যালয়ে ভুক্তভোগীকে আবারো ডাকেন মাহবুবা সিদ্দিকা এবং বলেন, আমি রোকেয়া হল ছাত্রলীগের সহ সম্পাদক ছিলাম। চিনো তুমি আমারে? আমি কত পাওয়ার চালাইছিলাম তুমি জানো? তোমার এলাকার মেয়র টিটু ভাইকে চিনো? বইল্লা ঐখানে তোমারে পুইত্তা ফালামু। আমার বাড়ি কোথায় জানোস? আমার শশুরবাড়ী কোথায় জানস? আমার সাথে ফাইজলামি না? এলাকায়ও টিকতে পারবা না।’
এর আগেও অভিযুক্ত শিক্ষিকার বিরুদ্ধে বিভাগে খারাপ ব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. ইয়াসমিন আরা সাথী বলেন, ‘আমরা ঘটনার একটি অংশ জেনেছি। পুরো বিষয়টি জানার জন্য তিন সদস্যের একটি অনুসন্ধান কমিটি গঠন করা হয়েছে।’
এ বিষয়ে ছাত্র উপদেষ্টা অধাপক ড. সেলিনা নাসরিন বলেন, অভিযোগ পত্রটি হাতে পেয়েছি। আগামীকাল শারীরিক শিক্ষা ও ক্রীড়া বিজ্ঞান বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা রয়েছে। একটু ব্যস্ততা রয়েছে। খুব শীঘ্রই এটা নিয়ে বসবো।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। আমি ক্যাম্পাসের বাইরে থাকায় অভিযোগ পত্রটি গ্রহণ করতে পারি নি। কাল দেখবো।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।