জুমবাংলা ডেস্ক : এক ব্যক্তির একাধিক বার ত্রাণ নেওয়া ঠেকাতে এবং ত্রাণ বিতরণে আরও স্বচ্ছতা আনতে পুরো কার্যক্রমের ভিডিও সংরক্ষণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দিয়েছে হাটহাজারী উপজেলা প্রশাসন।
তবে এই ভিডিও শুধুমাত্র ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের আর্কাইভে রাখতে হবে। ত্রাণ সংগ্রহকারীদের সামাজিক মর্যাদা বিঘ্নিত করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক বা অন্যকোথাও দেওয়া যাবে না।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. রুহুল আমিনের সই করা ওই নির্দেশনায় উল্লেখ করা হয়, করোনার প্রভাবে কর্মহীনদের মধ্যে খাদ্য সহায়তা দেওয়ার পর তা পেয়েও অনেকে জনপ্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে অসম্মানজনক মন্তব্য করছেন।
‘স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের কর্মকাণ্ডে স্বচ্ছতা আনতে ত্রাণ গ্রহণকারীর ছবি ও ভিডিও ধারণ করে তা তারিখ অনুযায়ী ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে আর্কাইভে রাখতে হবে। তবে ধারণকৃত ছবি বা ভিডিও কোনোভাবেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেওয়া যাবে না।’
এছাড়া একাধিকবার যারা ত্রাণ সংগ্রহ করেছেন, তাদের আলাদা তালিকা তৈরি করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ইউপি চেয়ারম্যানদের।
ইউএনও মো. রুহুল আমিন জানান, হাটহাজারীতে গত একমাসে প্রায় ৭০ হাজার পরিবারকে সরকারি, বেসরকারি উদ্যোগে ত্রাণ দেওয়া হয়েছে। এরপরেও কেউ কেউ অভিযোগ করছেন- তারা ত্রাণ পাননি।
তিনি বলেন, এক ব্যক্তি একাধিকবার সরকারি, বেসরকারি ত্রাণ সংগ্রহের প্রমাণ পেয়েছি আমরা। একই পরিবারের একাধিক ব্যক্তি ভিন্ন ভিন্ন ফোন নম্বর এবং এনআইডি কার্ড ব্যবহার করেও ত্রাণ সংগ্রহ করছেন।
এ কারণে ত্রাণ কার্যক্রমে আরও স্বচ্ছতা আনতে এবং একাধিকবার ত্রাণ সংগ্রহ করা ব্যক্তিদের চিহ্নিত করতে সরকারি, বেসরকারি সব ত্রাণ বিতরণের ভিডিও এবং স্থির চিত্র সংরক্ষণের নির্দেশ দিয়েছি আমরা। তবে এসব ভিডিও ছবি কোনোভাবেই বাইরে দেওয়া যাবে না।-বাংলানিউজ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।