জুমবাংলা ডেস্ক : ত্রিপল দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে পণ্য পরিবহণ করা ট্রাকের পিছনের অংশ। ঢেকে রাখা ট্রাকটিতে কি আছে? তল্লাশি করতেই বেরিয়ে এলো ৪৩ জন মানুষ। সর্বাত্মক লকডাউনের প্রথম দিন বুধবার সকালে ঝিনাইদহ জেলা শহরের চুয়াডাঙ্গা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে।
ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা ট্রাকটি পণ্য পরিবহণের পরিবর্তে যাত্রী নিয়ে সাতক্ষীরা যাচ্ছিল। আটকের কিছু সময় পরে মানবিক বিবেচনায় গন্তব্যে যেতে দেওয়া হয় ট্রাকের যাত্রীদের।
এদিকে জেলা শহরের পোস্ট অফিস মোড়, বাস টার্মিনাল, আরাপপুর, চুয়াডাঙ্গা বাসস্ট্যান্ডসহ বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে প্রশাসন।
সড়কে চলাচলকারীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জেলা শহরের সব ধরনের দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। অধিকাংশ স্থানে শ্রমিকরা কাজে আসেননি। জেলার অন্যান্য স্থানেও সর্বাত্মক লকডাউন কার্যকর করতে কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসন ও পুলিশ।
এদিকে ইসলামী ফাউন্ডেশন ঝিনাইদহের উপ-পরিচালক আব্দুল হামিদ খান জানান, বুধবার দাফন কমিটির পক্ষ থেকে করোনায় মৃত্যুবরণ করা দুইজনের লাশ দাফন করা হয়েছে। তারা হলেন, হরিণাকুন্ডু উপজেলার হামিরহাটি গ্রামের মৃত আনসার আলীর স্ত্রী হাওয়াতুন নেছা (৫০) ও একই উপজেলার মান্দিয়া গ্রামের প্রফেসর মো. আব্দুল লতিফ (৭৭)।
হাওয়াতুন নেছা চিকিৎসাধীন অবস্থায় ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে এবং মৃত্যু হয়েছে প্রফেসর মো. আব্দুল লতিফ ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ঢাকাতে মৃত্যুবরণ করেন।
উপ-পরিচালক আরও জানান, হাওয়াতুন নেছার স্বামী ৬ দিন আগে (৯ এপ্রিল) করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের পরিসংখ্যানবিদ জাহাঙ্গীর হোসেনের দেওয়া তথ্য মতে, জেলায় সব চেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে ঝিনাইদহ সদর ও কালীগঞ্জ উপজেলায়। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ১৯ জনের নমুনায় ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে।
ঝিনাইদহ ২৫০ শয্যার সদর হাসপাতালের উপ-পরিচালক ডা. হারুন অর রশীদ জানান, চলতি মাসে এ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বর্তমানে ৫০ বেডের করোনা ওয়ার্ডে ১৬ জন ভর্তি আছেন বলে জানান তিনি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।