জুমবাংলা ডেস্ক : সম্প্রতি বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ফের আড়াইহাজারে বিল্লাল হোসেন নামের এক পোল্ট্রি খামারির বাড়িতে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতদলের সদস্যরা কক্ষে থাকা সবাইকে দেশীয় অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নগদ অর্থ, স্বর্ণালংকারসহ প্রায় ছয় লাখ টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। গতকাল বুধবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে আড়াইহাজার পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পুলিশ রাতেই খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে আটক করতে পারেনি।
বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী রাহিমা বেগম বলেন, ‘ডাকাতদলের সদস্যরা ভবনের কেচি গেটের তালা কেটে ভেতরে প্রবেশ করে। পরে তারা আলাদাভাবে তিনটি কক্ষে পাঁচজন করে অবস্থান নেয়। দুই ছেলে ডালিম ও রমজানের গলায় ছুরি ঠেকিয়ে সবাইকে জিম্মি করে ফেলে। একপর্যায়ে তারা ঘরে থাকা লুঙ্গি ছিঁড়ে আমাদের হাত-পা বেঁধে ফেলে। ‘
রাহিমা আরো বলেন, প্রায় দেড় ঘণ্টাব্যাপী ডাকাতরা ভবনের বিভিন্ন কক্ষে তাণ্ডব চালায়। স্টিলের আলমারি ভেঙে প্রায় তিন লাখ টাকা, তিনটি মোবাইল ও চার ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার লুট করে নিয়ে যায়। তারা ফ্রিজে থাকা মিষ্টি খায়, বিভিন্ন ধরনের ফল ব্যাগে ভরে সিএনজিতে করে চলে যায়। পরে তার স্বামী বিল্লাল পাশের মসজিদে গিয়ে ‘ডাকাত ডাকাত’ বলে চিৎকার করেন।
খবর পেয়ে রাতেই আড়াইহাজার থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলেও কাউকে আটক করতে পারেনি। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, এক দিন আগে স্থানীয় দক্ষিণপাড়া এলাকায় এক প্রবাসীর বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। এই বাড়ি থেকে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা লুট করে নিয়ে যায় ডাকাতরা। কয়েক দিন আগে নোয়াপাড়া ও শিবপুর এলাকায় আড়াইহাজার থানা থেকে মাত্র কয়েক গজের মধ্যে ডাকাতরা স্বর্ণালংকারসহ মূল্যবান সামগ্রী লুট করে নিয়ে যায়।
ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর অভিযোগ, থানা থেকে মাত্র কয়েক গজের মধ্যে ডাকাতির ঘটনা ঘটছে। অথচ পুলিশ কিছুই করতে পারছে না। রাত হলেই এলাকায় ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করে। রাতে আমাদের নিরাপত্তা দিতে পারছে না পুলিশ। বিভিন্ন এলাকা থেকে গত কয়েক মাসে অনেকগুলো মোটরসাইকেল চুরির ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ এগুলোর একটিও উদ্ধার করতে পারেনি। পুলিশ তাহলে কী করছে! আগের যেকোনো সময়ের রেকর্ড ভেঙে রমজানেও ডাকাতির ঘটনায় পুরো এলাকায় নতুন করে মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
আড়াইহাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনিসুর রহমান মোল্লা বলেন, ‘খবর পেয়ে রাতেই বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আমি নিজেও সকালে গিয়েছিলাম। ডাকাতদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। ‘
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।