‘থাবা’ বা ‘ছোঁ মেরে’ মূল্যবান মালামাল কেড়ে নেয় তারা
জুমবাংলা ডেস্ক: রাজধানীতে প্রায়ই রিকশা, বাস, প্রাইভেটকার ও সিএনজিচালিত অটোরিকশার যাত্রীদের কাছ থেকে ‘থাবা’ বা ‘ছোঁ মেরে’ মোবাইল ফোন, ব্যাগসহ মূল্যবান মালামাল কেড়ে নেওয়ার ঘটনা ঘটছে। এছাড়া বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় দেশীয় ধারালো অস্ত্র দেখিয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনাও ঘটে। এসব ঘটনায় একটি চক্রের ১৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ ডিবি। এসময় ডিবি জানায়, ঢাকা ও তার আশপাশের এলাকায় প্রতিদিন গড়ে ৩০০ মোবাইল ফোন ছিনতাই হয়।
শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) বিভিন্ন এলাকা থেকে ছিনতাইকারী গ্রুপের দুই নেতাসহ ১৬ সদস্যকে গ্রেপ্তারের পর এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) প্রধান হারুন অর রশিদ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন মো. মিজান, আমিরুল ইসলাম বাবু, শরীফ হোসেন, রিদয়, রাজ, সুমন, সোহেল বাবু, রিদয়, মনিরুজ্জামান, নাজমুল, মনির, ইমরান, ফারুক, আশরাফুল ইসলাম সজিব, আরিফ ও হাসান।
সংবাদ সম্মেলনে হারুন অর রশিদ বলেন, গ্রেপ্তারকৃতরা ডিবিকে বলেছে, প্রতিদিন ১০০ জন লোক শহরের রাস্তায় ঘোরাফেরা করে ও মহাজন (গ্যাং লিডার) তাদের প্রত্যেককে প্রতিদিন কমপক্ষে তিনটি মোবাইল ফোন ছিনতাইয়ের লক্ষ্য নির্ধারণ করে দেন। সেই হিসেবে শহরে প্রতিদনি গড়ে ৩০০ মোবাইল ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
হারুন বলেন, বাস বা গাড়ির জানালার পাশে বসে যখন কেউ ফোনে কথা বলে বা নেট ব্রাউজ করে তখনই ছিনতাইকারীরা ফোনগুলো চুরি করে। পরে মহাজনরা তাদের কাছ থেকে কম দামে ফোন কিনে নেয়। সস্তা ফোনগুলো সরাসরি বিক্রি করা হলেও দামি ফোনগুলো খুলে শুধু যন্ত্রাংশ বিক্রি করা হয়। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে গ্যাং লিডাররা ফোনের ইন্টারন্যাশনাল মোবাইল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি (আইএমইআই) নম্বর পরিবর্তন করে বিক্রি করে।
ডিবি কর্মকর্তারা নগরবাসীকে এ ধরনের ছিনতাইয়ের ঘটনার পর সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করার অনুরোধ জানিয়েছেন যাতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী অন্তত হটস্পটগুলো (সক্রিয় স্থান) খুঁজে বের করতে পারে।
গ্রেপ্তারতারকৃত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে উত্তরখান থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানান ডিবি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।