স্পোর্টস ডেস্ক: করোনাভাইরাসের কারণে ক্রিকেট মাঠে বল সুইং করাতে এখন আর বলে থুতু কিংবা লালার ব্যবহার করতে পারবে না পেসাররা। এরই মধ্যে এ ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (আইসিসি)।
তবে বল সুইং করাতে বিকল্প কি ব্যবহার করা যাবে কিংবা বলের উজ্জ্বলতা বাড়ানোর জন্য বিকল্ল চিন্তা কি- এসব নিয়েই এখন সরগরম ক্রিকেট দুনিয়া।
সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার বল প্রস্তুতকারক সংস্থা কোকাবুরা দাবি করেছে, তারা এক ধরনের বল মার্কেটে আনতে চায়, যেটাকে মোম দিয়ে ঘঁষে উজ্জ্বলতা বাড়ানো যাবে। অন্যদিকে ডিউক দাবি করছে, তারা এমন এক উঁচুমানের বল তৈরি করছে, যেটাকে কিছু দিয়েই ঘঁষতে হবে না। সেটা এমনিতেই সুইং করবে।
অন্যদিকে ইংল্যান্ডের বল প্রস্তুতকারক সংস্থা ডিউক কর্তৃপক্ষ দাবি করছে, থুতু কিংবা লালা দিয়ে ঘঁষলেই কেবল বলের সুইং বাড়ে না।
বল নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডিউকের মালিক দিলির জাজোদিয়া গার্ডিয়ানকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ইংল্যান্ডে বলে সুইংটাকে আমি বড় সমস্যা হিসেবে দেখি না। আপনাকে অবশ্যই ব্যাট এবং বলের ব্যালেন্স তৈরি করতে হবে। না হলে খেলাটা হয়ে যাবে বিরক্তিকর। আমরা এ বিষয়টা জানি। কিন্তু এটাও ঠিক নয় যে, বলের একপাশ উজ্জ্বল, অন্যপাশ রাফ থেকে গেলেই সুইং তৈরি হবে। এটা আসলে বলের কোয়ালিটির ওপর নির্ভর করে।
তাহলে কোথায় পাওয়া যাবে এমন বল? এ প্রশ্নে মোটেও দুঃশ্চিন্তা করতে নিষেধ করেছেন ডিউকের নির্মাতা। তিনি বলেন, আপনাকে এ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না। কারণ, আমরা এমন এক উচ্চ মানের বল তৈরি করি, যেটাতে আপনি পাবেন খুব ভালো শেপ, শক্তিশালী সিম, যেটা বাতাসে রাডারের কাজ করবে। কারণ, এই সিমটা হচ্ছে হাতের সেলাই। এমনকি এই বলটি হবে খুবই শক্তিশালী ও দীর্ঘদিন খেলা উপযুক্ত।
ডিউক বলের নির্মাতা আরও বলেন, আইসিসি কিন্তু ঘামের ব্যবহার নিষিদ্ধ করেননি। ডিউক বলের গুণ হচ্ছে, আপনি কপালের ঘাম দিয়েও হালকা ঘষা দিলে এর উজ্জলতা ফিরে পাবেন। এছাড়া এমনিতেই বলটিতে সব সময় উজ্জ্বলতা বিরাজ করবে, যেটার কারণে বলে সুইংও হবে বেশি।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।