জুমবাংলা ডেস্ক : বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেছেন, যে দক্ষিণ এশিয়ার পূর্বাংশে কানেক্টিভিটি বা সংযোগ আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। বিশেষ করে ভারত ও বাংলাদেশের মানুষে মানুষে, ব্যবসায়-বাণিজ্যে এবং জ্বালানিসহ অর্থনীতির নানা ক্ষেত্রে এই সংযোগ বেড়েছে।
শনিবার (২ মার্চ) ভারতের পুনের ম্যারিয়ট হোটেলে পুনে ইন্টারন্যাশনাল সেন্টার আয়োজিত পঞ্চম ‘এশিয়ান ইকোনমিক ডায়ালগ’- এর সমাপনী দিনে এক প্যানেল আলোচনায় তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার পূর্বাংশে কানেক্টিভিটি বা সংযোগ আগের চেয়ে অনেকটাই বেড়েছে। সড়ক, রেল ও জলপথের অবকাঠামোর পাশাপাশি আর্থিক ক্ষেত্রে দুই দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মধ্যে সংযোগ বহুলাংশে বেড়েছে এবং নতুন নতুন সহযোগিতার সুযোগ তৈরি হতে যাচ্ছে। নেপাল ও ভূটানের সাথেও বাংলাদেশের দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বেড়েছে। ফেনি নদীর ওপর মৈত্রী সেতু পুরোপুরি চালু হলে ত্রিপুরা ও উত্তরপূর্ব ভারতের অন্যান্য রাজ্যের সাথে বাংলাদেশের যাতায়াত সংযোগ বহুগুণে বাড়বে।
রাষ্ট্রদূত সুধীর দেভারের সঞ্চালনায় দক্ষিণ এশিয়ার বাড়ন্ত কানেকটিভিটি বিষয়ে এই প্যানেল আলোচনায় দিল্লীর আরআইএস গবেষণা প্রতিষ্ঠানের অধ্যাপক ড. প্রবীর দে, দি ভুটানিজ পত্রিকার সম্পাদক তেনজিং ল্যামস্যাং এবং নেপালের সেন্টার ফর সাউথ এশিয়ান স্টাডিজের পরিচালক ড. নিশ্চল নাথ পান্ডেও আলোচনায় অংশ গ্রহণ করেন। তারা সকলেই দক্ষিণ এশিয়ায় বাণিজ্য প্রসারের প্রচুর সুযোগ আছে বলে মন্তব্য করেন।
সেই সূত্র ধরে ড. আতিউর রহমান আরও বলেন যে ভৌত অবকাঠামো ছাড়াও ডিজিটাল পেমেন্টসহ শুল্কায়ন ও অন্যান্য সংযোগ বাড়ানোর ক্ষেত্র প্রসারিত হচ্ছে এবং তা আরও বিকাশের সুযোগ রয়েছে। বিশেষ করে এই অঞ্চলের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সমূহ ডিজিটাল লেনদেন ও কারেন্সি সোওয়াপের মতো বহুমাত্রিক সংযোগ স্থাপনের কাজ ইতোমধ্যেই শুরু করেছে। বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংক সবুজ অর্থায়নের সমর্থন দিয়ে ইতোমধ্যে টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি সবুজ রূপান্তরে বড়ো ধরনের ভূমিকা রেখেছে। আর্থিক অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে কৃষিখাতের উন্নতি ছাড়াও নারী উদ্যোক্তাসহ ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পোদ্যোক্তাদের বিকাশে বাংলাদেশ ব্যাংকের উদ্ভাবনীমূলক ভূমিকার কথা সকলেরই জানা। আরবিআই ডিজিটাল লেনদেনের সমন্বিত অবকাঠামো নির্মাণে বড়ো ভূমিকা রেখে চলেছে। দক্ষিণ এশিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকগুলো একে অপরের উত্তম চর্চা থেকে অনেক কিছুই শিখতে পারে এবং এ অঞ্চলের নানামাত্রিক সংযোগের ক্ষেত্রকে নিশ্চয় আরও প্রসারিত করতে পারে।
তাছাড়া জাপানের জাইকা, এডিবি ও বিশ্ব ব্যাংক দক্ষিণ এশিয়ার অর্থনৈতিক সংযোগ বৃদ্ধিতে বিরাট ভূমিকা রাখছে। এসবের প্রভাবে এই অঞ্চলের মানুষের দারিদ্র্য নিরসনসহ জীবন মানের উন্নয়নে বড়ো ভূমিকা রাখছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।