বিনোদন ডেস্ক : দক্ষিণী সিনেমার জনপ্রিয়তার কাছে ম্রিয়মাণ হয়ে যাচ্ছে বলিউড। প্রশ্ন উঠছে পরিচালক করণ জোহরের সেলিব্রেটি শোতেও। হিন্দি সিনেমার এই হালের জন্য অভিনেতা-নির্মাতা আমির খানের দিকে আঙুল তুলেছেন করণ।
‘কফি উইথ করণ’ এর সবশেষ এপিসোডে এসেছিলেন বলিউড তারকা আমির খান। অতিথি ছিলেন নায়িকা কারিনা কাপুরও।
গত কয়েক বছরে ভারতে দক্ষিণী সিনেমাগুলো বক্স অফিসে পেয়েছে অভাবনীয় সাফল্য, জনপ্রিয়তার রথ ছুটেছে ভারতজুড়ে। কিন্তু সেই তুলনায় ‘পৃথ্বীরাজ’, রণবীর কাপুরের ‘সমসেরা’ এবং রণবীর সিংয়ের ‘জয়েশভাই জোরদার’ এর মত বড় বাজেটের হিন্দি সিমেনাগুলো দর্শক টানতে পারেনি।
অন্যদিকে বাহুবলী, আরআরআর, কেজিএফ এবং পুষ্পার সাফল্যের উদাহরণ টেনে করণ জোহর বলেন, দক্ষিণের এই সিনেমাগুলোতে দর্শককে আকৃষ্ট করার মত এমন কোনো দ্যোতনা আছে, যেটা আগে হিন্দি সিনেমাতেই পাওয়া যেত, কিন্তু এখন আর তা পাচ্ছেন না দর্শকরা।
এই পরিচালকের ধারণা, রঙ হারানোর মূল কারণ হয়ত ইন্ডাস্ট্রির মূল ধারা ছেড়ে হিন্দি সিনেমার বেরিয়ে যাওয়া, এবং সেজন্য তিনি আমির খানের বড় দায় দেখছেন।
এর কারণ ব্যাখ্যা করে তিনি বলেন, “আপনি ২০০১ সালে দুটো সিনেমা ‘দিল চাহতা হ্যা’ এবং ‘লগন’ এনেছিলেন, দুটোতেই দর্শক নতুন ধরনের সংবেদনশীলতার স্বাদ পেয়েছিল। দুটো সিনেমায় আপনি নতুন ব্যাকরণ রচনা করেছিলেন।
“আর তারপর ২০০৬ সালে আপনি বানালেন ‘রঙ দে বাসন্তী’ এবং তারপর ‘তারে জামিন পার’। তাতে আপনি আলাদা একটি ঘরানার দর্শক এবং নির্মাতা তৈরি করতে শুরু করলেন।“
করণের এই বিশ্লেষণ মানতে নারাজ আমির। নিজের অবস্থান ব্যাখ্যা করে তিনি বলেছেন, ওই সিনেমাগুলো ছিল হৃদয়স্পর্শী। সবগুলো ফিল্মেই আবেগ ছিল, সে কারণে সাধারণ মানুষের কাছেও পৌঁছাতে পেরেছে।
“এটা এমন কিছু যার আবেগ আপনাকে ছুঁয়ে যাবেই। রঙ দে বাসন্তী তো খুবই আবেগ জাগানো সিনেমা। এমনকি তৃণমূলের দর্শকদেরও এ ছবি ছুঁতে পেরেছে।”
আমির খান বলেন, তিনি আ্যাকশন সিনেমা তৈরির বিপক্ষে নন। তার কাছে দর্শনটা হলো, ভালো গল্প নিয়ে সিনেমা বানাতে হবে। তবে গল্পটা হতে হবে এমন যা বেশিরভাগ মানুষের কাছে প্রাসঙ্গিক মনে হবে।
“প্রত্যেক নির্মাতার স্বাধীনভাবে কাজ করার অধিকার আছে। কিন্তু আপনি যখন এমন কোনো বিষয় সিনেমার জন্য বেছে নিচ্ছেন, যা নিয়ে ভারতের সিংগভাগ মানুষের আগ্রহ নেই… হয়ত কিছু মানুষ ওই সিনেসাগুলো নিয়ে আগ্রহী হবে… এ বিষয়টি আমাদের অনেকেই উপলব্ধি করতে পারেন না। আমার মনে হয় এটাই পার্থক্য গড়ে দেয়।“
‘কফি উইথ করণ’ এ আমির খান তার প্রাক্তন স্ত্রীদের নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন। রীনা দত্ত এবং কিরণ রাওয়ের সঙ্গে সপ্তাহে একদিন দেখা হওয়ার কথা জানান।
“আমরা যতই ব্যস্ত থাকি না কেন, সবাই সপ্তাহে একবার একত্রিত হই। একে অপরের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা, শ্রদ্ধা রয়েছে আমাদের।“
‘লগন’ চলচ্চিত্রের শুটিংয়ে পরিচয় হয়েছিলন আমির ও কিরণের; সেই সিনেমার সহকারী পরিচালক ছিলেন কিরণ। এরপর বিয়ে করেন ২০০৫ সালে। গত বছর ১৫ বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টানেন তারা। এই দম্পতির এক ছেলে রয়েছে। আর প্রথম স্ত্রী রীনা দত্তের সঙ্গে আমিরের এক ছেলে ও এক মেয়ে রয়েছে।
চিহ্নিত হয়েছে ‘দুর্বল’ ১০ ব্যাংক, তালিকায় প্রথম যে ব্যাংকের নাম
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।