দলীয় কোন্দলে বিএনপি নেতার বাড়িতে ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগ

জুমবাংলা ডেস্ক : ফরিদপুরের সালথা উপজেলায় দলীয় কোন্দলকে কেন্দ্র করে বিএনপির এক নেতা ও তার সমর্থকের বাড়িতে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের অভিযোগ উঠেছে দলের আরেক পক্ষের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে।

রবিবার (১৯ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আটঘর ইউনিয়নের কৃত্তা, বিভাগদী, নকুলহাটিসহ বিভিন্ন গ্রামে এসব হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে উপজেলা বিএনপির প্রচার সম্পাদক নাসির মাতুব্বরের (৪৫) সঙ্গে তিন নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) সদস্য হাসান আশরাফের (৪১) বিরোধ চলে আসছিল। রবিবার সকালে কৃত্তা গ্রামে হাসান আশরাফের বাড়িতে হামলা চালিয়ে আগুন ধরিয়ে দেন নাসিরের সমর্থকেরা। এছাড়াও এসি ও জানালার কাচ ভাঙচুর করেন।

চুয়াডাঙ্গায় হেলমেট পরে প্রকাশ্যে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখমচুয়াডাঙ্গায় হেলমেট পরে প্রকাশ্যে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম
এরপর হামলাকারীরা পাশের বিভাগদী গ্রামে শহিদ সরদার নামের আশরাফের এক সমর্থকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

জানা গেছে, ১৭ জানুয়ারি রাতে নকুলহাটি বাজারে নাসিরের এক সমর্থককে মারধর করেন হাসান আশরাফের সমর্থকরা। এর জেরে শনিবার সন্ধ্যায় নকুলহাটি বাজারে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হন। আহতদের মধ্যে ৬ জন ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

এ বিষয়ে বিএনপি নেতা নাসির মাতুব্বর বলেন, “কোনো কারণ ছাড়াই শুক্রবার রাতে আমার সমর্থক রাজুকে মারধর করে হাসান আশরাফের লোকজন। এর জেরেই পরবর্তী ঘটনাগুলো ঘটছে।”

অন্যদিকে যুবদল কর্মী হাসান আশরাফ বলেন, “নাসির মাতুব্বরের লোকজন আজ আমার বাড়িতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এ ছাড়া বেছে বেছে আমার সমর্থকদের বাড়িতে গিয়ে হামলা ও ভাঙচুর করেছে।”

এসব ঘটনায় আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নগরকান্দা সার্কেল) আসাদুজ্জামান। তিনি বলেন, “হামলার খবর পেয়ে পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।”